• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

কচুয়ার বড়দৈল মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরীর মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল

আপডেটঃ : সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০

 

স্টাফ রিপোর্টার :
কচুয়া উপজেলার দক্ষিন বড়দৈল ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরী (নাইটগার্ড) মো: সাদ্দাম হোসেন মজুমদারের মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সম্প্রতি তার নিজ গৃহে মাদক সেবনের ৪৮ সেকেন্ডের এ ভিডিওটি ‘সামাজিক অবক্ষয় রোধের আন্দোলন’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে ভাইরাল হয়। যা এখন এলাকার প্রতিটি মানুষের মোবাইলে মোবাইলে রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় মাদক সেবনে সাদ্দাম হোসেনকে ‘সবুজ ও সাদা’ রঙ্গের গেঞ্জি পরিহিত এক যুবক সহায়তা করতে দেখা যায়। তবে ওই যুবকটি কে তার পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাদ্দাম হোসেন মজুমদার মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরী হলেও তিনি মাদক সেবন ও একসময় মাদক বিক্রির সাথে জড়িত ছিলেন এছাড়া মাদ্রাসার দায়িত্ব পালনেও অবহেলা করেন বলেও এলাকায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বড়দৈল গ্রামের অধিবাসী মনির হোসেন মজুমদারের পুত্র মো: সাদ্দাম হোসেন মজুমদার নিজেকে মাদক সেবনের নির্দোষ দাবি করে বলেন, কিছুদিন পূর্বে দুষ্টামিবশত মাদক সেবনের দৃশ্যটি মোবাইলে ধারণ করি। পরে কে বা কাহারা ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ছড়িয়ে দেয়।
সাথের যুবকটি কে ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাকে চিনি না এবং মাদক সেবন কিংবা বিক্রির সাথে জড়িত নয় বলেও দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, একটি বিশেষ মহল আমার সম্মান ক্ষুন্ন করতে ‘সামাজিক অবক্ষয় রোধের আন্দোলন’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি পোষ্ট দেয়।
মাদ্রাসার সুপার মো: আলমগীর হোসেন জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই।
ওই মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো: মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল বলেন, সম্প্রতি আমার মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরী কর্তৃক মাদক সেবনের দৃশ্য মোবাইলে ভাইরাল হওয়ার ব্যাপারে আমাকে এলাকাবাসী জানিয়েছে। তবে বিষয়টি সত্য কিনা তা যাচাই বাছাই করা হবে।
এদিকে একজন ইসলামি মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরী হয়েও প্রকাশ্যে মাদক সেবনে জড়িত থাকার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত পূর্বক সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোরদাবী জানিয়েছে সচেতন এলাকাবাসী।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…