জিসান আহমেদ নান্নু,কচুয়া ॥
মানুষ মানুষের জন্য স্লোগানে’ কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যাচ্ছেন মনপুরা গ্রামের কৃতিসন্তান, শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপ-গ্রন্থাগারিক, শিক্ষক ও ঢাকাস্থ কচুয়া কল্যাণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম আব্দুল লতিফ মজুমদার এর একমাত্র সন্তান বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও পূর্ব মনপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. বজলুর গনি রাসেল মজুমদার।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নিজ থেকেই এলাকায় নানামূখী কাজ করছেন। দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার ভূমিকা রাখছেন দীর্ঘদিন ধরে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে গ্রাম হবে শহর এই শ্লোগান বাস্তবায়নে দূর্ণীতি,সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছেন।
বর্তমান মহামারী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সারাদেশে লকডাউন থাকায় সাধারণ গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ত্রাণ ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে গরিব, অসহায়, দিনমজুর, কর্মহীন মানুষের সেবা করে আসছেন তিনি। এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও গরিব অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের কাগজ কলমসহ শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন। তাঁর এই মহৎ উদ্যোগের জন্য এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি।
সেবার উদ্দেশ্য নিয়ে বিশিষ্ট সমাজ সেবক রাসেল মজুমদার বলেন, সাধারণ মানুষের সেবা করাই আমার মূল লক্ষ্য। মানবিক গুণাবলির মধ্যে মানুষের কল্যাণ, সেবা ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি উল্লেখযোগ্য। এ মানবতাবোধ ও মহৎ প্রবণতাগুলো যাদের মধ্যে বিদ্যমান, তারা সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে উজ্জ্বল ও প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। তাই ইসলামেও মানবিক কল্যাণ, সেবাধর্মী চিন্তা-চেতনা ও পরোপকারের এ কাজকে সর্বোত্তম গুণ হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চলমান জীবনে আমরা বিভিন্নভাবে সমাজের উপকার করতে পারি। এ উপকার সহানুভূতি, সেবা দান, কায়িক শ্রম, আর্থিক সাহায্য, সৎ পরামর্শ কিংবা বাস্তব কর্ম দিয়েও করতে পারি।
ইসলামে মানুষের সেবা-কল্যাণ ও পরোপকারের কথা বারবার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বলা হয়েছে। সাহায্য-সহযোগিতা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যদি তোমরা দান, সদকা, সাহায্য-সহযোগিতা প্রকাশ্যে করো তাও ভালো, আবার তোমরা দুস্থ, নিঃস্ব, ছিন্নমূল, এতিম, গরিব, অসহায়দের অতি সঙ্গোপনে চুপে চুপে দান করো তা আরও উত্তম। ‘মনে রাখতে হবে, দান-খয়রাত করতে হবে এমনভাবে, যাতে ডান হাত দিয়ে দান করলে বাঁ হাতও না জানে। অর্থাৎ দান-সেবা করে বাহবা কুড়ানো বা নিজেকে কিছু মনে করা ঠিক নয়।
তিনি আরো বলেন, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধোদের একজন প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। কর্মজীবনে প্রথম দিকে তিনি কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও মনপুরা ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।
১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। উপ- গ্রন্থাগারিক হিসেবে ২০১১ সালে দীর্ঘ ৪৪ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মময় জীবন সুনামের সাথে শেষ করেন।
আমার বাবা ঢাকাস্থ-কচুয়া কল্যাণ সংঘ ও আফতাব-ওসমান-লতিফ স্মৃতি সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মনপুরা এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
আমার প্রয়াত বাবা এলাকার মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সময় অসহায় গরিব লোকদের বিভিন্ন আর্থিক অনুদান দিয়ে সহযোগিতা করতেন। তাঁর এই ধারা বজায় রাখতে আমি মূলত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ইতোমধ্যে আমি আমার এলাকার গরিব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আসছি। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো আমার বাবা যে ভাবে মানুষদের সেবা দিয়েছেন, তাঁর এই ধারাটি অব্যহত রাখবো, ইনশাআল্লাহ।
দীর্ঘদিন ধরেই সমাজ, সভ্যতা, শিক্ষা ও সাহিত্য সংস্কৃতির উন্নয়নসহ অবহেলিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলছেন কাদলা ইউনিয়নের তরুণ সমাজ সেবক রাসেল মজুমদার। শৈশব থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেন একটি সবুজ সুন্দর সমাজ গঠনের। তিনি সৃষ্টির সেরা মানুষ। আর মানুষের কল্যানেই আমি নিজেকে সর্বদা উৎসর্গ করতে চাই।