মনিরুল ইসলাম মনির :
মতলব উত্তরে কৃষকের মাঝে ধান কাটা, মাড়া এবং ঝাড়ার কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের আয়োজন এ মেশিন বিতরণ করেন মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প ভর্তুকি মূল্যে ধান কাটার মেশিন কম্বাইন হারভেস্টার ক্রয় করা হয়েছে।
ধান কাটার মেশিন কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণকালে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, মেঘনা-ধনাগদা সেচ প্রকল্পের ভিতরের প্রতিটি ইউনিয়নে একই সাথে ধান কাটা শুরু হয়। তখন ধান কাটার লোক পাওয়া পাওয়া যায়না, তখন কৃষক খুবই চিন্তিত হয়ে পরে। আজ থেকে আর চিন্তা করতে হবেনা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস বলেন, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও ব্যবহার বাড়লে কৃষি উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পাবে, ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়বে এবং ফসলের অপচয় রোধ হবে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে কৃষি অধিকতর লাভবান হবে এবং কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ ঘটবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিকের অভাব প্রায় ৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুন। এমতাবস্থায় কৃষিকে লাভজনক করার একমাত্র পথ কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ। গত কয়েক দশকের ব্যবধানে কৃষিতে বেড়েছে শ্রমিক সংকট তেমনি ধারাবাহিকভাবে কমছে কৃষি জমি। এ অবস্থায় শ্রম ও সময় সাশ্রয়ের জন্য কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে কৃষি যন্ত্রপাতি। তবে কৃষিতে যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হলে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। সেখানে সরকারের ভতুকি সহায়তা কার্যকর করার পাশাপাশি পরিমানও বাড়াতে হবে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে তথা বিশ্ববাসীকে করোনা ভাইরাস থেকে হেফাজত করেন।
সভাপতি বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএম জহিরুল হায়াত বলেন, কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারের ফলে অল্প খরচে ধান কাটা সম্ভব হবে। ফলে অতিরিক্ত ব্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে কৃষক। ধান কাটার মেশিনটি ক্রয়ের কারনে উপজেলাধীন প্রতিটি কৃখশ এর সুফল ভোগ করতে পারবে। তিনি ফেডালেশনে সকলকে যন্ত্রটি ভালভাবে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পরামর্শ ও বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সকলকে ধৈর্য ধারন করে সরকারী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, যন্ত্রের বাজার মূল্য ২৯লাখ ৫০হাজার টাকা। তন্মধ্যে সরকারী ভর্তুকি দিবে ১৪ লাখ টাকা এবং ক্রেতা দিবেন অবশিষ্ট ১৫ লাখ ৫০হাজার টাকা। মেশিনটি প্রতি ঘণ্টায় ১’শ শতক জমির ধান টাকা, মাড়াই ও ঝাড়াই করতে পারে। ফলে, কৃষক দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবে। তাছাড়া এই মেশিন শুয়ে পরা ধান ও কাটতে পারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান প্রধান, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. আলাউদ্দিন, মুজিবুর রহমান প্রধান, মো. শরীফ দর্জি’সহ আরো অনেকে।