বিশেষ প্রতিনিধিঃ
হাজীগঞ্জ বাইকার্স জোনের ২০২০ সালের ২য় যাত্রা সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গত ৮ ফ্রেবুয়ারী শুক্রুবার ভোর ৫টায় বাইকার্স জোনের ক্যাপ্টেন মেহেদী আল জাবেরের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জনের মধ্যে ১৯ জন বাইকার এ যাত্রায় অংশ গ্রহন করেন।
অংশগ্রহকারীরা হলেন মেহেদী আল জাবের (ক্যাপ্টেন), মনির আবু সিফাত, মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, সুজন মজুমদার, রুবেল মজুমদার, শাহাজালাল রুবেল, ইঞ্জিঃ মিরাজুল ইসলাম সারোয়ার, মেহেদী হাসান, রেদোয়ানুর রহমান সাগর, সুব্রত দেব বাপ্পী, মোঃ ইয়াছিন আরাফাত, ফজলুর শাওন, সাহেদ আজীম, মোহাম্মাদ আলম, জুয়েল মিয়াজি, হাবিবুর রহমান, সজিব দেবনাথ, আরাফাত শামীম, রাজু মজুমদার।
ক্যাপ্টেন জানান, ২০২০ সালের এটা হাজীগঞ্জ বাইকার্স জোনের দ্বিতীয় ভ্রমণ, একটা ভ্রমনকে সার্থক করতে হলে সে গ্রুপের শৃঙ্খলা থাকতে হয় সেটা বাইকার্স জোনের আছে, ভ্রমণ মানুষকে আনন্দ দেয় কর্ম চাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি করে। একটা নেশা মুক্ত সমাজ গড়ার জন্য ভ্রমণের বিকল্প নেই। যুবকরা বেশি বাইকের প্রতি দুর্বলতা সেই দুর্বলতা থেকে অনেকে সেফটি ব্যবহার না করে বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে। হাজিগঞ্জ বাইক জোনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সবাইকে সচেতন করা।
কিভাবে বাইক রাইড করলে নিরাপত্তা বজায় রাখা যায় সেই বিষয়ে প্রত্যেকটা ভ্রমণের আগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ক্যাপ্টেন আরো জানান, বাইক রাইড করা যেমন আনন্দের এবং তেমনি রিস্কি তাই প্রত্যেকটা ভ্রমণের আগে প্রত্যেকটা বাইকারকে সেফটি এবং ড্রাইভ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।
আমাদের এই ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরলাম, আমাদের ভ্রমণের ছিল একদিনের হাজিগঞ্জ থেকে সীতাকুন্ডের যার দূরত্ব ১৭৫ কিলোমিটার। প্রথমে মিরসরাই মহামায়া অপরূপ সৌন্দর্য লেক ও ঝর্ণা দেখলাম। সেখানের প্রকৃতির সৌন্দর্য আসলে চোখে না দেখলে বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।
তারপর গেলাম গুলিয়াখালি বিচ ওখানে আমরা গিয়েছি হাজিগঞ্জ বাইকার জোন সবুজ প্রকৃতি ঘেরা এমন বিচ কোথাও আছে কিনা জানা নেই, ঘাসগুলো মনে হচ্ছে কোন বিছানো কার্পেট অসম্ভব সুন্দর, সূর্যটা দেখতে দেখতে মনের সকল অশান্তি দূর হয়ে গেল। গুলিয়াখালি সুন্দর সম্পর্কে আমার বলার মত কোন ভাষা নেই।
তারপর ওখান থেকে আমরা চলে আসলাম বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে। আমাদের আগে সিডিউল দেওয়া ছিল আমরা এখানে ক্যাম্পেইন করলাম সবাই। চাঁদের আলো সামনে সমুদ্র, সবুজ ঘাস, ঝাউ বাগানের মাঝখানে চারিদিকে সৌন্দযর্, জীবনের শ্রেষ্ঠ একটি রাত্রী ইট পাথরের দেয়াল ছেড়ে এমন প্রকৃতির মাঝে যে কেউ হারিয়ে যেতে চায়। ওখানে যাওয়ার পর আমারা নয়টায় ডিনার শেষ করে মধ্যরাত পর্যন্ত গানের আড্ডা তার সাথে বারবিকিউ,পরোটা গরম গরম খেজুরের রস খেলাম।
শিশির ভেজা সকালে সাগর পাড়ে সূর্য উদয় দেখে অপরুপ সৌন্ধর্য্য আর পাহাড়ী সবুজের বেষ্টনিতে বাইকারা মিলেমিশে একাকার এই সৌন্দর্য প্রকৃতির মাঝ থেকে বাড়িতে ফিরে এলাম রবিবারে। সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যারা বাইক রাইড করছেন তারা অবশ্যই মাথায় হেলমেট পরিধান করবেন পায়ে লেক গাট এবং সকল সেফটি গার্ড ব্যাবহার করবেন। আশা করছি নিজে সচেতন হোন নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করুন। আরেকটা কথা যত গতি তত ক্ষতি, বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন প্রকৃতি দেখতে হলে আস্তে আস্তে বাইক রাইট করুন।