নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নে সন্না গ্রামে আগুনে একটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার দুপুরে ওই গ্রামের দেওয়ান বাড়ীর বোরহান হোসেনের বসতঘরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে করে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বোরহান হোসেনের পরিবার। তিনি ওই বাড়ীর আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত বোরহান হোসেনের ছেলে মামুন ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। সে ঘুমন্ত অবস্থায় নাকে পোড়া গন্ধ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠে। এবং ঘরে আগুন ও ধোয়া দেখতে পায়। পরে মামুন বসতঘরের জানালা ভেঙ্গে কোনমতে প্রাণ নিয়ে, ঘর থেকে বের হয়ে আসে।
খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা অগ্নিকান্ড স্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় আধাঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ে আনে। কিন্তু ততক্ষনে বসতঘর, ঘরে বারান্দায় থাকা দুটি ইনকিউভেটর, আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণালংকার, তৈজসপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তের ছেলে মামুন হোসেন জানান, ঘরে বিদ্যুৎ ছিলো না। রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডারও অক্ষত। কিন্তু বসতঘরের উত্তর দিকে আগুন আর আগুন। মুহুত্বেই এই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অথচ যে স্থান দিয়ে আগুন লেগেছে, সেখানে আগুন লাগার মতো কোন কিছুই ছিলো না।
তিনি বলেন, একদিন আগে তার বাবা-মা বেড়ানোর উদ্দেশ্যে ঢাকায় যান। তিনি ঘরে একাই ছিলেন। এদিন দুপুরে তিনি বাকিলা বাজার থেকে ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমন্ত অবস্থায় তার নাকে পোড়া গন্ধ পাওয়ায় তিনি জেগে উঠেন। অগ্নিকান্ডের বিষয়টি নাশকতা বলে তিনি জানান। তবে কারো সাথে বিরোধ বা পূর্ব শত্রুতা নেই বলেও তিনি জানান।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন। তারা (ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার) অভিযোগ দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।