জিসান আহমেদ নান্নু ॥
কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দোঘর ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসাটি এমপিও ভূক্ত হয়েছে। বহু ত্যাগ তিতীক্ষার পর অবশেষে ঐতিহ্যবাহী এই মাদ্রাসাটি এমপিও ভূক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থী,শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে আনন্দ উৎসাহ দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার দোঘর গ্রামে ২০০২ সালে এলাকার দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ মাদ্রাসাটি চালু করা হয়। শুরুতে উল্লেখ্য যোগ্য ছাত্রী না থাকলেও বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় ৩৬৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় প্রতিবছর শতভাগ সহ শিক্ষার্থীরা দাখিল, জেডিসি ও পিএসসিতে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে। মাদ্রাসায় সুপার ছাড়াও ১৩ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর রয়েছে। মাদ্রাসা সূত্রে জানাগেছে, সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠার পর অষ্টম শ্রের্নী পর্যন্ত চালু হয়। পরবর্তীতে সালে ৯ম ও ১০ম শ্রের্নী কার্যক্রম চালু হয়। স্থানীয়রা জানান, মাদ্রাসাটি সদ্য এমপিও ভূক্তিকরন হলেও এ মাদ্রাসায় কোন একাডেমিক ভবন নেই। বর্তমানে ভবনের অভাবে আইসিটি কম্পিউটার ল্যাব,প্রশিক্ষন ভবন, ছাত্রীদের নামাজ ঘর,কমন রুম ও মাদ্রাসায় বর্তমানে আসবাবপত্রের অভাবে পাঠদানে মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। তাই অভিলম্বে নারী শিক্ষার প্রসারের স্বার্থে এই মাদ্রাসায় দ্রুত একটি অত্যাধুনিক একাডেমিক নতুন ভবন নির্মানসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপিসহ সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী। মাদ্রাসার সুপার মো: শাখাওয়াত হোসেন জানান, শুরু থেকেই সাধারন শাখার শিক্ষকদের দিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষাকার্যক্রম অনেক কষ্টে ধরে রেখেছি। অবশেষে মাদ্রাসাটি এমপিও ভূক্ত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা: দিপু মনি এমপি,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি ও মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, অ্যাডভোকেট চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ ও বিদ্যুৎসাহী সদস্য মো. জাহিদ হাসান নয়ন এর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পাশাপশি সকলের সহযোগিতায় এ মাদ্রাসাটির ভবিষ্যতে লেখাপড়ার সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পরিচালনা পর্ষদ,শিক্ষক,অভিভাবক,শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সর্বত্মাক সহযোগিতা কামনা করছি।