হাজীগঞ্জ বাজারের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়য়া।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বাজারের প্রধান প্রধান সড়কে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন তিনি।
অভিযানে গণউপদ্রুব সৃষ্টি এবং ভোক্তা অধিকার আইনে ৯ জন ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার ৫’শ টাকা নগদ জরিমানা ও বেশ কিছু মালামাল জব্দ এবং মটরযান অধ্যাদেশ আইনে মিজান (৩৫) নামের একজন চালককে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।
এ সময় বাজার ফুটপাত সংলগ্ন সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সর্তক এবং সচেতনতার লক্ষে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বৈশাখী বড়য়া।
এ দিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালীন সময়ে হকাররা পালিয়ে যান এবং বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, গণউপদ্রুব সৃষ্টি, ফুটপাত দখল এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় জনতা মিষ্টান্ন ভান্ডারকে নগদ ৫ হাজার, মা-মনি সুইসটকে ১ হাজার, ব্যবসায়ী মো. মানিককে ২ হাজার, হোসেন শাহকে ১ হাজার ৫’শ, মো. রতনকে ১ হাজার, কাউছারকে ৩ হাজার, কাজী আনিছকে ২ হাজার, মামুনুর রশিদকে ২ হাজার এবং শ্যামল পালকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা ও বেশ কিছু মালামাল জব্দ করা হয়।
এ সময় ফুটপাত সংলগ্ন সকল স্থায়ী এবং অস্থায়ী ব্যবসায়ীকে সতর্ক ও সচেতনতার লক্ষে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান এবং কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিজ উদ্যোগে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সময় নির্ধারণ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বৈশাখী বড়য়া।
এছাড়াও মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল এবং চালকের লাইসেন্স না থাকার কারনে মিজান নামের একজন চালককে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন তিনি।
ভ্র্যাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. মামুনুর রশিদ, থানা সহকারি উপ-পরিদর্শক আব্দুল মমিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স এবং উপজেলা অন্যান্য কর্মকর্তা, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শক (টিআই) মো. মামুনুর রশিদ, থানা সহকারি উপ-পরিদর্শক আব্দুল মমিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স এবং উপজেলা অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।