হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং পশ্চিম বড়কুল ইউনিয়নের নাটেহরা হরিদাস বাড়ির সুকুমার চন্দ্র দাস এর ছেলে বিশু চন্দ্র দাস ও তার স্ত্রীর উপর তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে হামলা চালিয়ে আহত করেছে একই গ্রামের গাজী বাড়ির রোমানা ও তার স্বামী হাসান সহ আরো কয়েকজন। আহত বিশু চন্দ্র দাস ও তার স্ত্রীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ঘটনাটি সোমবার সন্ধ্যায় বিশু দাসের বসত ঘরের সামনে ঘটেছে।
জানতে চাইলে আহত বিশু চন্দ্র দাস ও তার স্ত্রী রীতা জানান, আমাদের একটি হাঁস হারানো গেলে আমরা তা খুঁজে না পেয়ে কয়েক ঘরে দেখতে যাই , পরের গাজি বাড়ি রুমানাদের ঘর দেখতে গেলে এতে তাদের ইজ্জত নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তারা আমি ও আমার স্বামীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের সাথে আমাদের পূর্ব শত্রুতা নেই, হাঁস খুঁজতে গেলাম কেন এজন্যই আমরা তাদের হামলার শিকার হই । ওরা আমাকে ও আমার স্বামীকে ব্যাপক মারধর করে। আমার স্বামী বিশু তাদের আঘাতে পঙ্গু হয়ে যায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছে তার হাঁটুর জয়েন আলাদা হয়ে গেছে, উন্নত চিকিৎসা করার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন, অন্যদিকে রুমানার স্বামী হাসান ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হাসপাতলে এসে পুনরায় হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানায় বিশু একজন শ্রমিক সে নিরীহ, সন্তানদের মুখের আহার জোগাড় করতে অসুস্থ শরীর নিয়ে রোজগার করতে যায় ।
সামান্য হাঁস নিয়ে গাজী পরিবারের লোকজন এত মারাত্মক ঘটনা ঘটাবে এটা কেউ ভাবতেও পারেনি। এদিকে রোমানা ও তার স্বামী এবং তাদের ভাতিজা এতই উত্তেজিত ছিল গ্রামের মানুষ ছুটে না গেলে সনাতন ধর্মের লোকদের আরো ব্যাপক ক্ষতি হতে পারতো ।সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে ও শিশু ও তার পরিবারের লোকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এবং প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছে।