দিনে গরম-রাতে ঠা-া, কুয়াশাচ্ছান্ন, অতিবৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া ও অতিরিক্ত সার প্রয়োগের কারনের পাশাপাশি ব্লাস্ট রোগে ইরি ধান চিটে হয়ে যাওয়ার উপক্রম। এবছর ইরি ধানের বাম্পার ফলনের আশা করলেও ব্লাস্টার ও ধান চিটা হয়ে যাওয়ার কারনে কৃষকের মুখের হাসি ম্লান হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মতে এ বছর কচুয়ায় ১২ হাজার ৭শত ৫ হেক্টর জমিতে ইরি ধানের লক্ষ মাত্রা নির্ধারন করা হয়।
উপজেলার ৩৭টি কৃষি ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগনকে মাঠে ময়দানে ছুটে গিয়ে কৃষকদেরকে উপরোক্ত রোগ হতে ধান রক্ষায় ছত্রাক নাশক প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে বলে কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ দাবী করলেও অনেক ব্লকে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতি তেমন একাটা দেখা যাচ্ছেনা বলে কৃষকরা জানায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আহসান হাবীব জানান, যেসব কারনে নেক ব্লাস্ট ও রোগ হয় ওই একই কারনে লিফ ব্লাস্ট রোগেরও সৃষ্টি হয়। বৈরী আবহাওয়া ধান চিটে হয়ে যাবার একাটা কারন। তাছাড়া ব্লাস্ট রোগের প্রতিকারের জন্যে সাতদিন পরপর ছত্রাক নাশক টুপার /নাটিভোগ পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে ধানে প্রয়োগ করতে হবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আশা করা যায় কৃষকদের ফলনে তেমন সমস্যা হবেনা ।