মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে হাজীগঞ্জ বাজারের কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে। এতে বেশিরভাগ দোকানেই ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। কিছু দোকানে ব্যবসায়ী, দোকান কর্মচারী ও ক্রেতাদের মুখে মাস্ক থাকলেও তা থুতনির নিচে পরতে দেখা গেছে। তবে কাউকেই শারিরিক দুরত্ম মানতে দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি নয়, সবাই ক্রয়-বিক্রয়কেই প্রাধান্য দিতে দেখা গেছে।
এসব ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) মো. সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে ব্যাপক সচেতনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাজীগঞ্জ বাজারে প্রতিটি মার্কেট ও কাপড়ের দোকানসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দ্বারে-দ্বারে গিয়ে হ্যান্ড মাইকিংয়ের মাধ্যমে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ দেয়া হয়েছে। এ সময় বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রচরাভিযানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সরকার শর্ত-সাপেক্ষে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান-পাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে। আশা করি বিক্রেতারা সেসব বিধি-নিষেধ মেনে তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং ক্রেতারাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, আপনার আমার দায়িত্বশীল আচরন ও চলাফেরায় করোনা সংক্রমন ঠেকানো সম্ভব। নতুবা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। যারা সরকারি বিধি-নিষেধ ও শর্তাবলী মেনে না চলবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। এ সময় তিনি বেশ কয়েকটি কাপড়ের দোকানীকে সর্তক করেন এবং তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান করেন।
পুলিশি এই প্রচারিভাযানে হাজীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) সৈয়দ মো. মোশারফ হোসেন, উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন-২, মো. ইউনুস মিয়া, মো. রবিউল ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ, মো. রুবেল, সহকারী উপ-পরিদর্শক নাজিম উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।