মানব খবর : হাজীগঞ্জে ফিতা কেটে বলাখাল সার্বজনিন মহাশ্মশানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া।
হাজীগঞ্জ ব্যুরো:
হাজীগঞ্জে নব-নির্মিত বলাখাল সার্বজনিন মহাশ্মাশনের উদ্বোধন করেছেন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থেকে বলাখাল-নাটেহরা ব্রীজ সংলগ্ন এই মহাশ্মশানের উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ।
বলাখাল সার্বজনীন মহাশ্মশানের সভাপতি সুখেন্দু রায় চৌধুরী সুন্টির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাধাকান্ত দাস রাজুর পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমীর লাল দত্ত।
এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফরিদুল আলম, মোহাম্মদ নান্নু মিয়া, কামরুল ইসলাম খান, শাহাজালাল রাকিবুল ইসলাম রিপন, তাপস সরকারসহ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধি এবং স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি সুখেন্দু রায় চৌধুরী সুন্টি জানান, আমার বাবা ধীরেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরীর এই মহাশ্মাশনের নামে উক্ত সম্পত্তি দানপত্র করে দিয়েছেন। পরবর্তীতে এ জমি বেদখল হলে আমি তা উদ্ধার করে ২০১৭ সালে মাটি ভরাট কাজ শুরু করি। সম্প্রতি বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গে মৃতদের সৎকার নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে সনাতন ধর্মালম্বীদের নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠকের পর ধর্মীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের শ্মাশান করার নির্মাণের উদ্যোগ নেই। ইতিমধ্যে দৃশ্যমান কাজ শেষে আজ (সোমবার) তা উদ্বোধন করা হয়েছে। আরো কাজ বাকী আছে। তিনি প্রশাসন ও হিন্দু ধর্মালম্বীসহ সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
উপজেরা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সমীর লাল দত্ত জানান, বলাখাল সার্বজনীন মহাশ্মশান হিন্দু ধর্মালম্বীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এই মহাশ্মশানে সৎকার কাজ করতে কোন বিঘ্নতা থাকবে না। তবে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই সৎকার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা সুমন অধিকারী সার্বিক উপস্থাপনা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ম মেনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনায় পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সনাতন ধর্মালম্বীরা সহ মহাশ্মশানের ভক্তবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।