নিজস্ব প্রতিনিধি :
এইচএসসিতে পাশের হার
হাজীগঞ্জে ২০১৯ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৬.৯৮ শতাংশ। ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৮ জন। উপজেলার ৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর ২৫৮৬ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ১৯৭৭ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ জন, এ ৫৪৫ জন, ৫২৭ জন, বি ৪৬৫ জন, সি ৪০২ জন, ডি গ্রেড পেয়েছে ১০ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৬০৯ জন।
সর্বোচ্চ ২৪ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলায় প্রথম স্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজ। এ কলেজ থেকে ৮৪১ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৭১৭ জন। পাসের হার ৮৫.২৬ শতাংশ। এর মধ্যে এ ২৯৬ জন, এ মাইনাস ২২৭ জন, বি ১১৯ জন, সি ৫০ জন, ডি গ্রেড পেয়েছে ১ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১২৪ জন।
৩ জন জিপিএ-৫ নিয়ে উপজেলা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ। এ কলেজ থেকে ৮২১ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৫৯১ জন। পাসের হার ৭২.২৫ শতাংশ। এর মধ্যে এ ১০৭ জন, এ মাইনস ১৩৯ জন, বি ১৭০জন, সি ১৬৬ জন, ডি গ্রেড পেয়েছে ৬ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১২৩০ জন।
দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজ থেকে ১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ কলেজ থেকে ২২০ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ১৮৭জন। পাসের হার ৯৩.৫০ শতাংশ। এর মধ্যে এ ২৪ জন, এ মাইনস ৩২ জন, বি ৫৭ জন, সি গ্রেড পেয়েছে ৭৩ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৩৩ জন।
এ ছাড়াও ফলাফলের দিক থেকে উপজেলা প্রথম স্থানে রয়েছে, কাকৈরতলা ডিগি কলেজ। এ কলেজ থেকে ১১৭ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ১১৬ জন। পাসের হার ৯৯.১৫ শতাংশ। এর মধ্যে এ ৬৪ জন, এ মাইনস ৩৫ জন, বি ৫ জন, সি গ্রেড পেয়েছে ৫ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১ জন।
নাসিরকোট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৫১ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ১১৫ জন। পাসের হার ৭৬.১৬ শতাংশ। এর মধ্যে এ ২৯ জন, এ মাইনস ৩৩ জন, বি ২১ জন, সি ৩০ জন ও ডি গ্রেড পেয়েছে ২ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১ জন।
ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০৮ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ১৩৯ জন। পাসের হার ৬৬.৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে এ ১৭ জন, এ মাইনস ৪৮ জন, বি ৫০ জন, সি গ্রেড পেয়েছে ২৪ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৬৯ জন।
হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১২৬ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৭৫ জন। পাসের হার ৬০ শতাংশ। এর মধ্যে এ ৪ জন, এ মাইনস ১৩ জন, বি ২৯ জন, সি গ্রেড পেয়েছে ২৯ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৫১ জন।
বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজ থেকে ৯৬ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৩০ জন। পাসের হার ৩১.২৫ শতাংশ। এর মধ্যে বি ১২ জন, সি ১৭ ও ডি গ্রেড পেয়েছে ১ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৬৬ জন।
হাজীগঞ্জ কর্মাস কলেজ থেকে ৮ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৭ জন। পাসের হার ৮৭.৫০ শতাংশ। এর মধ্যে এ ৪ জন, বি ২ জন, সি গ্রেড পেয়েছে ১ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১ জন।
হাজীগঞ্জে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে ২০১৯ সালের আলিম পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯১.৪৭ শতাংশ। ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫ জন। তিনটি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে। উপজেলার ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর ৩৭৫ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৩৪৩ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন, এ ১০৯ জন, এ মাইনাস ৯৮ জন, বি ৬৮ জন, সি ৫০ জন, ডি গ্রেড পেয়েছে ৩ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৩২ জন।
শতভাগ পাস করা তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো, হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদরাসা, ছালেহ আবাদ এম.এন ফাজিল মাদরাসা ও কাপাইকাপ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা। হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদরাসা থেকে ৫৮ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৫৮ জন। পাসের হার শতভাগ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, এ ২৫ জন, এ মাইনাস ১৪ জন, বি ১১ জন ও সি গ্রেড পেয়েছে ৪ জন।
ছাহেল আবাদ এম.এন ফাজিল মাদরাসা থেকে ৩১ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৩১ জন। পাসের হার শতভাগ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, এ ১৩ জন, এ মাইনাস ৫ জন, বি ৬ জন ও সি গ্রেড পেয়েছে ৬ জন।
কাপাইকাপ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা মাদরাসা থেকে ৩৬ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৩৬ জন। পাসের হার শতভাগ। এর মধ্যে এ ১০ জন, এ মাইনাস ১৭ জন, বি ৫ জন ও সি গ্রেড পেয়েছে ৪ জন।
রামচন্দ্রপুর ফাজিল মাদরাসা থেকে ৩২ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৩১ জন। পাসের হার ৯৭ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন, এ ১৪ জন, এ মাইনাস ৫ জন, বি ৩ জন ও সি গ্রেড পেয়েছে ২ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১ জন।
বাকিলা ফাজিল মাদরাসা থেকে ২০ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ১৯ জন। পাসের হার ৯৫ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, এ ৮ জন, এ মাইনাস ৫ জন, বি ১ জন ও সি গ্রেড পেয়েছে ৪ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১ জন।
বেলচোঁ কারিমাবাদ ফাজিল মাদরাসা থেকে ৪৩ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৩৪ জন। পাসের হার ৭৯ শতাংশ। এর মধ্যে এ ৬ জন, এ মাইনাস ৭ জন, বি ১২ জন ও সি গ্রেড পেয়েছে ৯ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৯ জন।
নওহাটা ফাজিল মাদরাসা থেকে ৩৯ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৩৬ জন। পাসের হার ৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, এ ৬ জন, এ মাইনাস ১৩ জন, বি ৬ জন, সি ৯ জন ও ডি গ্রেড পেয়েছে ১ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৩ জন।
নেছারাবাদ ফাজিল মাদরাসা থেকে ২৬ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ২৫ জন। পাসের হার ৯৬ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, এ ১৩ জন, এ মাইনাস ৭ জন ও বি গ্রেড পেয়েছে ৪ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১ জন।
রাজারগাঁও ফাজিল মাদরাসা থেকে ৩০ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ২৬ জন। পাসের হার ৯৫ শতাংশ। এর মধ্যে এ ৪ জন, এ মাইনাস ৯ জন, বি ৭ জন ও সি গ্রেড পেয়েছে ৬ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৪ জন।
সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে ৮ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৭ জন। পাসের হার ৮৮ শতাংশ। এর মধ্যে এ ৫ জন ও এ মাইনাস ২ পেয়েছে জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১ জন।
সুহিলপুর এ.বি.এস ফাজিল মাদরাসা থেকে ১৫ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ১২জন। পাসের হার ৮০ শতাংশ। এর মধ্যে এ ২ জন, এ মাইনাস ৪ জন, বি ৫ জন ও সি গ্রেড পেয়েছে ১ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৩ জন।
বলাখাল এন.এম.এন আলিম মাদরাসা থেকে ১৬ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ১৪ জন। পাসের হার ৮৮ শতাংশ। এর মধ্যে এ ৩ জন, এ মাইনাস ৫ জন, বি ২ জন ও সি গ্রেড পেয়েছে ৪ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ২ জন।
কাকৈরতলা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা থেকে ২১ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ১৪ জন। পাসের হার ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে এ মাইনাস ৫ জন, বি ৬ জন, সি ১ জন ও ডি গ্রেড পেয়েছে ২ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৭ জন।
হাজীগঞ্জে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে ২০১৯ সালের এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৬.২৭ শতাংশ। ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৮ জন। উপজেলার ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর ৪২৯ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৪১৩ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮জন, এ ৩১৮ জন ও এ মাইনাস পেয়েছে ১৭ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১৬ জন।
সর্বোচ্চ ৫৪ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজ। এ কলেজ থেকে ২০০ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ১৯৫ জন। পাসের হার ৯৭.৫০ শতাংশ। এর মধ্যে এ ১৪০ জন ও এ মাইনাস পেয়েছে ১ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৫ জন।
১৯ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল এন্ড কলেজ। এ কলেজ থেকে ১০৭ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ১০৩ জন। পাসের হার ৯৬.২৬ শতাংশ। এর মধ্যে এ ৭৯ জন ও এ মাইনাস পেয়েছে ৫ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৪ জন।
৩ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলায় ততৃীয় অবস্থানে রয়েছে বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরি কলেজ। এ কলেজ থেকে ৮৭ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৮২ জন। পাসের হার ৯৪.২৫ শতাংশ। এর মধ্যে এ ৭০ জন ও এ মাইনাস পেয়েছে ৯ জন এবং পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেনি ৫ জন।
২ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ। এ কলেজ থেকে ৩৫ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ৩৩ জন। পাসের হার ৯৪.২৫ শতাংশ। এর মধ্যে এ ২৯ জন ও এ মাইনাস পেয়েছে ২ জন এবং পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেনি ২ জন।