রাফিউ হাসানঃ
মানুষ গড়ার কারখানাকে ভালোবেসে একঝাঁক শিক্ষিত যুবক গড়ে তুলেছে নিজের মধ্যে উন্নয়নের এক সেতুবন্ধন। নিজের বাড়ি, নিজের ঘর সাজালে চলবে না। যেখান থেকে বেরিয়ে আজ এখানে সেখানের সার্বিক উন্নয়ন করার দৃঢ় প্রত্যয় জাগিয়েছে ঘুমন্ত কর্মিদের। তারাই গড়েছে উপজেলায় প্রথম ইতিহাস।
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজমেহার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে “অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন” গঠন করেছে।
১৯ জুন বিকেল সাড়ে ৪টায় বিদ্যালয় সেমিনার কক্ষে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের সাবেক সিনিয়র শিক্ষক নিখিল চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে ও নব্য সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ সোহাগ মজুমদারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সন্মানিয় উপদেষ্টা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক আহ্বায়ক, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম মিন্টু, বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বাবু রতন কান্তি দত্ত, সিনিয়র শিক্ষক বাবু শুভ্র কান্তি মজুমদার।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ মেহেদী হাসানকে সভাপতি ও ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মুজিবুর রহমান রাজিবকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করেন কার্যকরী পরিষদের নির্বাচক কমিটি।
এসময় নব্য কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যরা ২৯ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি প্রকাশ করেন।
১৯৭৫ ব্যাচের ছাত্র, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী বলেন, বিদ্যালয়টি নানান সমস্যায় থাকলেও সরকারী দান অনুদানে তার সমাধান অপ্রতুল। এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আজ যে উদ্যোগ গ্রহন করেছে তা যুগান্তকারী এক পদক্ষেপ। আজ বহু শিক্ষার্থী নিজ নিজ জায়গা উচ্চ পদে রয়েছে। যাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বপ্রণোদিত বিনিয়োগের মাধ্যমে আশু সমস্যার সিংহভাগ হ্রাস পাবে। যা একটি মহতী উদ্যোগ। তিনি দায়িত্ব প্রাপ্ত কমিটির সবাইকে সাধুবাদ জানান।
১৯৮১ ব্যাচের ছাত্র পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক আহ্বায়ক, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম মিন্টু বলেন, আমি আজ আবেগ আপ্লুত। বিদ্যালয়ের স্বার্থে তোমরা আজ যা করেছো তা স্মরনীয় হয়ে থাকবে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এই সংগঠনটি টিকিয়ে রাখতে তিনি সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন।
ঘোষিত কমিটির সভাপতি ডাং মোহাম্মদ মেহেদী হাসান মজুমদার বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, বিদ্যালয়ের সমস্যা, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন পরিচালিত করতে এই সংগঠন সব সময় পাশে থাকবে। বিজ্ঞ উপদেষ্টা মন্ডলী সংগঠনের পাশে থাকলে এবং সার্বিক সহযোগিতা করলে, পাশাপাশি সংগঠনের সকল সদস্য ঐক্যতা বজায়ে রাখলে উক্ত সংগঠন সুনাম কুড়াবে। তিনি তার সাধ্য ও যোগ্যতানুযায়ী এবং সবার সহযোগিতা নিয়ে সংগঠনটি চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান।