ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তোহা
সময়টা সচেতন থাকার।তাই চলমান মহামারী করোনায় শাহরাস্তি উপজেলার জনগণকে নিরাপদ ও সচেতন রাখতে করোনা প্রার্দুভাবের শুরু থেকে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা শাহরাস্তি উপজেলা উত্তর শাখা।অপরদিকে মানবিক বিভিন্ন সহায়তা পেয়ে খুশি সামর্থ্যহীন মানুষগুলো।
করোনা ঠেকাতে সিএনজি অটোরিক্সা,রিক্সাও মসজিদসহ গণপরিহনে ছিটানো হয়েছে তরল প্রতিরোধক।
পথচারীদের বিলি করছেনে করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক লিফলেট। অভ্যাস করাচ্ছেন হাত পরিস্কারের সাথে বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের যে প্রাদুর্ভাব তা ঠ্যাকাতে শুধু নিজে ভাল থাকলেই হবে না ভাল থাকতে হবে সবাইকে সাথে নিয়ে। সেজন্যই কাজ করছে ছাত্রসেনার এ কর্মীরা। তাঁরা চান তাঁদের মতই যেন সবাই এগিয়ে আসেন যেন সব মানুষ একসাথে ভাল থাকতে পারে এই ভাইরাসের কবল থেকে।
সেবার উদ্দেশ্য রাস্তার পাশে হাত ধোয়ার বেসিন, সেনিটাইজার আর পানিভরা ড্রামও রেখে দিয়েছেন তাঁরা। দিব্যি সেবা নিচ্ছেন পথচারীরাও।
সাধারণ ছুটি ও দীর্ঘ লকডাউনের কবলে পড়ায় দেশের অসহায় ও নিম্ন শ্রেণির মানুষের পাশে ছিলেন অনবরত।দিয়েছেন সর্বোচ্চ সেবা।এর মধ্যে রাতের আঁধারে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন ত্রাণ,রমযানে দিয়েছেন সেহেরী ও ইফতার খাদ্য সামগ্রী। সর্বশেষ দিলেন ঈদের স্পেশাল গিফট আইটেম।
করোনার প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে মানুষের মৃত্যুর হারও বেড়েছে চরম।এ পরিস্থিতিতে যখন নিজ আত্নীয় স্বজনরা আসছেননা জানাজা,দাফন ও কাপন করতে ঠিক তখনিই তারা করোনায় মৃত লোকদের দাফন কার্য সম্পাদন করছেন অবিরত।
এধরণের উদ্যোগ নিতে নানান ঝুট-ঝামেলায় পড়ার কথাও জানান মানবতার এই সেবকরা। তাঁরা বলছেন, নিরাপত্তার কথা ভেবে যদিও আমাদের বাইরে যাওয়া উচিত না তবুও মানবতার খাতিরে আমরা বের হচ্ছি। তবে আমরা চেষ্টা করছি রাতের বেলা বা ভোর বেলা কাজ করতে যখন মানুষের সমাগম কিছুটা কম থাকে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা শাহরাস্তি উপজেলা উত্তর শাখার সভাপতি মাওঃ মোঃ কামরুল হাসান বাবু বলেন,ইসলামী চেতনায় করোনার মতো এমন দুর্যোগে যেন পরিবার-সমাজ- রাষ্ট্র সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সাথে কাজ করতে পারি তার জন্য দোয়া করবেন।