শাহরাস্তি প্রতিনিধিঃ
শাহরাস্তি উপজেলার জনগণের প্রধান দুর্ভোগের কারণ হিসেবে এতোদিন চিহ্নিত ছিলো প্রধান সড়কটি। স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শত কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে পাস করা হয় উক্ত সড়ক পুনঃ নির্মাণ কাজ প্রকল্প।
গত কয়েক মাস যাবৎ চলছে এ নির্মাণ কাজ। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ লোকজন কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারপরও সাধারণ জনগণের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে সড়কের উন্নয়ন কাজটি হওয়ায়। মেহের কালীবাড়ি থেকে মোল্লার দরজা, মেহের কালীবাড়ী থেকে লোটরা বাজার পর্যন্ত সড়কের কাজ এগিয়ে চলছে।
মেহের রেল গেট থেকে দোয়াভাঙ্গা পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করা হয়েছে। মেহার কালীবাড়ি থেকে মেহের রেল গেট পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন কাজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এখনো শুরু করেনি। কিন্তু গত মাসে শাহরাস্তি উপজেলার ব্যস্ততম এলাকা ঠাকুরবাজারে উন্নয়ন কাজ শুরু করে আবার বন্ধ করে দেয়া হয়।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটিতে মাটি খুঁড়ে চলে যায়। ফলে বর্তমানে ঠাকুরবাজারের উত্তর বাজার যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে সড়কটিতে হাঁটু পানি জমে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা এবং যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উক্ত সড়কে যানবাহন বিকল হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায় যাত্রীদের। বৃষ্টিতে কাদা পানি আর শুষ্ক মৌসুমে বালুতে পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে পড়ে।
সড়কটিতে কাজ না করে রাস্তা খোঁড়ার অভিযোগ তুলে স্থানীয় কাউন্সিলর নূর মোহাম্মদ মোল্লা যানবাহন বন্ধ করে প্রতিবাদ জানান। পরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন উক্ত সড়কে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাসে যান চলাচল শুরু করা হয়।
কাউন্সিলর নূর মোহাম্মদ মোল্লা জানান, তিনি প্রতিবাদ করার পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুই গাড়ি ইট ফেলে দেয়। এরপর আর আসেনি। দায়সারাভাবে দু গাড়ি ইট ফেলেই যেনো তাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে, বর্তমানে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। সড়কটিতে বর্তমানে এতোটাই দুরবস্থা বিরাজ করছে যা নিজ চোখে দেখা ছাড়া কেউ বিশ্বাস করবে না। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি কথা বলার জন্যে ।