চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার দোয়াভাঙ্গা-সূচিপাড়া-মোল্লারদজ্বা সড়কের প্রশস্তকরণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ওই সড়ক সংস্কার কাজে বরাদ্দকৃত প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাত করার লক্ষ্যে নিম্নমানের পোড়ামাটি ব্যবহার, ইটের পরিবর্তে নিম্নমানের শেওলাযুক্ত পাথর দিয়ে ম্যাকাডম ও অনেক ক্ষেত্রে রাবিশ দিয়ে সংস্কার কাজ চলছে। জানা যায়, উপজেলার দোয়াভাঙ্গা-সূচিপাড়া-উঘারিয়া সড়ক দিয়ে উপজেলা পরিষদ, থানা ও পৌরভবন ছাড়াও প্রায় ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে ১৫/২০ হাজার লোক চলাচল করে। কাজের স্লো গতির কারনে চলাচলকারীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানিয় ঠাকুর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই সড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু নিম্নমানের ইট আর ম্যাকাডম দেখে মনে হচ্ছে দেশ বাহাদুর ও স্থানিয় সংসদ সদস্য সাধারণ জনগনকে বুঝানোর জন্যই দায় সারা কাজটি করছেন। তিনি দাবি করে বলেন, আমরা ভালো এমপি পেয়েছি, তাই ওনার মাধ্যমে ভালো কাজ চাই। উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুল কবীর দাবি করে বলেন, ‘সাধারণ জনগণ এ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে রক্তচক্ষু প্রদর্শন করেছে ঠিকাদারের লোকজন। তারা দম্ভোক্তির সঙ্গে বলছে অফিসে কমিশন দিয়েছি। আর যেখানে যা দেয়ার দিয়েছি তাই আমাদের বিরুদ্ধে কারও কিছু করার নেই।
কর্তৃপক্ষের কোনো তদারকিও নেই । যে কারনে তারা কাউকে তোয়াক্কা না করে অনিয়মে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সোচ্চার হওয়ার জোর দাবি জানান তিনি। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রানা বিল্ডার্সের প্রকৌশলী মো. সাব্বির বলেন, বড় কাজ। আংশিক অংশ দেখে কাজের মান খারাপ তা নির্ণয় করা যাবে না। আমরা চেষ্টা করছি কাজের মান ভালো করার। এছাড়া ঠিকাদার যেমন মাল দিবেন আমরা তেমনই কাজ করবো।
আমাদের কিছুই করার নাই। চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, পুরো কাজের কোন অংশে নিম্নমানের কাজ হয়েছে তা নির্ধারণ করতে হবে। ঘটনার সত্যতা প্রমানীত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কাজের মান খারাপ হলে স্থানিয় সংসদ সদস্যের সুনাম ক্ষুন্ন হবে। তাই কাজের মান খারাপ করা যাবে না। স্থানিয় এলাকাবাসী বলেন, দীর্ঘদিন যাতায়াতে আমরা দূর্ভোগ পোহাচ্ছি।
আমাদের এমপি মহোদয়ের অক্লান্ত পরিশ্রম ও একান্ত আন্তরিকতায় আমাদের দূর্ভোগ লাগব করতে এই বৃহৎ কাজটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে নিয়ে আসেন। আর ঠিকাদার আমাদের এই প্রাণের দাবি পূরণে অপূরণীয় ভূমিকা পালন করছে। যা আমরা সাধারণ জনগন কখনই মেনে নিবো না। তারা প্রয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি প্রদান করে।