রাফিউ হাসানঃ
করোনা আতঙ্ক হোক কিংবা লকডাউন, মানুষ রয়েছে তাদের স্বাভাবিক ছন্দে। কোন কিছুই প্রভাব পড়েনি জনজীবনে। করোনা আতঙ্কের জেরে ডাকা লকডাউনে তেমনই জনজীবনের স্বাভাবিক চিত্র দেখা গেল চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায়। পেটের তাগিদে ছুটে চলাই হয়তো শ্রমজীবি মানুষদের ভাগ্যের নিয়তি।
কিন্তু সামাজিক দূরত্বটুকু কি তারা মেনে চলছেন? প্রশ্ন এখানেই! প্রশাসনের বা দেখা নেই কেনো প্রশ্ন সচেতন এলাকাবাসীদের। করোনার প্রভাবে যেখানে সারাদেশে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সেখানে এই ধরণের চিত্র কতটা স্বাভাবিক তা ভাবনার বিষয়!
তবে পুলিশের যে সক্রিয় ভূমিকা গত কয়েকদিনে দেখা গিয়েছিল তা আর দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন অনেকে। অপরদিকে দিন দিন নতুন নতুন এলাকাগুলোতে পাওয়া গিয়েছে করোনা আক্রান্তের খবর। তাতেও ভয়-ভীতি নেই মানুষের, যেন তারই প্রমাণ দিচ্ছে এই ধরনের জনজীবনের স্বাভাবিক চিত্র। তাহলে কবে ফিরবে হুঁশ? কবেই বা পুলিশ-প্রশাসন আবার পুনরায় তাদের সক্রিয় ভূমিকা দেখাবেন সেই দিকে তাকিয়ে এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা।
করোনা পজিটিভ হওয়া ব্যক্তিরা নিজেরাও জানেন না তারা কিভাবে ঘরে থেকে নিজেদের চিকিৎসা গ্রহণ করবে। সরকারী নাম্বারগুলোতে ফোন দিয়ে পাচ্ছেন না কাঙ্খিত সেবা৷ প্রয়োজনীয় ঔষধ কিংবা খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করার জন্য নিজেরা বের হতে না পারলেও কেউ এগিয়ে আসে না তাদের এই বিপদকালীন মুহূর্তে। সমাজের অধিকর্তা কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের অসহযোগিতায় আক্রান্ত পরিবারেরা হয়ে পড়ছে আরও বিমর্ষ। তাদের জন্য মন কাঁদে না কারও।