শফিকুল ইসলাম রিংকু :
এক বছর পূর্বে এমপিও ভুক্ত হওয়া মতলব দক্ষিণ উপজেলার তোফাজ্জল হোসেন ঢালি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ থেকে শুরু করে প্রবেশ পত্র বিতরণ করা পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় ৬ হাজার টাকা করে আদায় করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণেই প্রতি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে নেয় বিদ্যালয় কৃতিপক্ষ। যা শিক্ষার নামে ব্যাপক অর্থ বানিজ্য বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্যরা। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের পুঁটিয়া গ্রামে অবস্থিত তোফাজ্জল হোসেন ঢালি উচ্চ বিদ্যালয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ শ’ ৫২ জন। পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়ে প্রবেশ পত্র দেওয়া পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৮শ’ টাকা আদায় করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফরম পূরণে ২ হাজার টাকা, কোচিং ১ হাজার টাকা, মডেল টেষ্ট ৩ শ’ ৫০ টাকা, মিলাদ বাবদ ৫শ’ টাকা এবং প্রবেশপত্রের জন্য ২ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। এমপিও ভুক্তি হওয়া এই বিদ্যালয়টি এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেকর্ড পরিমাণে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে বলে জানান তারা। এদিকে গতবারের মত এবারও এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে রয়েছে তোফাজ্জল হোসেন ঢালী উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম। উপজেলার অনেক শিক্ষক জানান, এই পরীক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যালয়টির নিজস্ব পরীক্ষা ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে। পরীক্ষার সময় হল পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের নানান সুবিধা দিতেই পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয় বলে তাঁরা মনে করেন। প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলামকে বিদ্যালয়ে না পেয়ে তাঁর মোবাইলে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বকেয়া ছিল তাই প্রবেশপত্র বিতরণে ২ হাজার টাকা নিতে হয়েছে। তবে সবার ক্ষেত্রে ওই টাকা নেওয়া হয়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম খান বলেন, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি ফরম পূরণের সময় কেন্দ্র ফি না নিয়ে থাকে তাহলে শুধু কেন্দ্র ফি বাবদ যে টাকা নির্ধারন আছে তাই নিতে পারেন। এই ছাড়া প্রবেশপত্র বাবদ কোন টাকা নিতে পারবে না আমি এ বিষয়টি দেখব।