সফিকুল ইসলাম রিংকু:- মতলব দক্ষিন উপজেলার, বোয়ালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে ইভটিজিং শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে জানাযায়, গত ০১ নবেম্বর সকালে বোয়ালীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া লিমা নামের এক শিক্ষার্থী, এলাকার নজরুল ইসলামের বাড়িতে রাব্বানি স্যারের কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে ইভটিজিং এর শিকার হয়।
বোয়ালীয়া গ্রামের ইয়াসিনের ছেলে রাকিব ও তার চাচাতো ভাই সোহেল দুই বখাটে লম্পট, লিমাকে তার সহপাঠিদের সামনে থেকে টেনেহেছরে পাশের বাগানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় লিমা এবং সহপাঠীদের ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়, লিমার বাবা বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানালে, থানায় অভিযোগ করতে বলেন। থানায় যাওয়ার সময় লম্পট সোহেলের বড় ভাই সালাউদ্দিন, ছাত্রীর বাবাকে রাস্তায় বাধা প্রদান করে, এবং থানায় অভিযোগ করতে যেতে দেননি। এ বিষয়ে মেয়ের বাবা সাংবাদিকদের জানান আমরা গরিব মানুষ তাদের কথা না শুনলে ভবিষৎতে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে ।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ বলেন, সকালে কোচিং বন্ধের জন্য একাধিক বার নিষেধ করা হয়েছে। নিষেধ অমান্য করে গনিত শিক্ষক রাব্বানি সকালে কোচিং করায়, ছাত্রিদের কোন ক্ষতি হলে এই দায়ভার উনি বহন করবে , তিনি আরো বলেন আমি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি ওনি ব্যাবস্থা নিবেন।
গনিত শিক্ষক রাব্বানির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া জায়নি এমন কি তার নাম্বার কাউকে না দেওয়ার জন্য বাড়ির মালিক নজরুল ইসলাম কে বলে দেন। ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এর কোন সমাধানের অগ্রগতি নেই। এলাকার সুধি সমাজ বলেন, সরকারের আদেশ অমান্য করে কি করে কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে । তাই এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।