শাহরাস্তি প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে প্রবাসী ছেলে শাহিন ও তার স্ত্রী সোনিয়া কর্তৃক, নির্যাতিত মা-বাবার আর্ত্ননাদ, অপরাধ ঢাকতে নিজ গৃহে জোড় তালা লাগিয়ে পরিবারকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউপির ৮নং ওয়ার্ডে বেলাল আহম্মেদের প্রবাসী ছেলে শাহিন ও তার স্ত্রী সোনিয়া সুলতানা কর্তৃক বেলাল আহম্মেদ (৭৫) ও তার স্ত্রী সুরাইয়া বেগম (৬৫) দীর্ঘদিন যাবত শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসতেছে। এলাকা ও পরিবার সূত্রে জানায় বেলাল আহম্মেদের ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছেন। তার মধ্যে রড় ছেলে শাহিনকে বাবার চাকুরীর অবসরের পেনসেন ও গুচ্ছিত টাকা দিয়ে স্থায়ী শোরসাক বাজারে পৌনে ৪শতক জায়গা ক্রয় ও রেষ্টিরী করতে দায়িত্ব দেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শাহিন বাবার নামে রেষ্ট্রি না করে নিজ নামে রেষ্ট্রি করে নেন। চতুর শাহিন বিষয়টি পোগন রাখতে সক্ষম হন। পাশাপাশি বাবার বাকী টাকা দিয়ে বিদেশে ফাড়ি জমান। র্দীঘদিন বিদেশ থাকা অবস্থায় বাকী ২ ভাই সাঈদ আলী স্বপন ও রেজওয়ান হোসেন রিপনকে নিজ দোকানের কর্মচারীর ভিসা দিয়ে বিদেশ নেন। বিদেশ থাকা অবস্থায় ঢাকার কামরাঙ্গাচর এলাকায় জায়গা খরিদ করে ৪তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মান করেন। সেই খানে ভাই শাহীন প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে বাকী ভাইদের নামে উল্লেখ না করে নিজ নামে রেজিষ্ট্রি করে নেন। পরিবারের লোক জানতে চাইলে সকল ভাইয়ের নাম আছে বলে জানান এবং শাহীন ছোট ২ ভাইকে বিদেশ রেখে গোপনে দেশে এসে পড়েন। তার বাবাকে নতুন ও পুরাতন বাড়ী মোট সম্পত্তি ২৪ শতক নাল ভূমি এবং ১৬শ আশি বর্গফুট বিল্ডিং নিজ নামে রেষ্ট্রি করে নেন। একই বিল্ডিং বাকী অংশ ও বাকী ৩ ভাইয়ের নাল সম্পত্তি হির্ষা অনুসারে প্রত্যেকের নামে রেষ্ট্রি করেন নেন। এ বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম্য আদালতে সকল বিষয়ে আপোষের একটি অঙ্গিকার নামা সকলের সম্মতিক্রমে সৃজন করেন। প্রতারক শাহীন সকল কিছু নিজ নামে বুঝিয়ে নিয়ে মা, বাবা ও ছোট ভাই-বোনের উপর সোনিয়া সুলাতানাসহ তাদের উপরে নির্যাতন মারধরের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। নিরউপায় হয়ে ৩১ শে আগষ্ট ২০১৮ ইং তারিখে শাহিন ও তার স্ত্রী সোনিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে গর্বধারিনী মা বাদী হয়ে উপাজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে মারধরের বিচার প্রার্থনা করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ আলোকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকট আর কখনো মা-বাবাকে মারধর ও নির্যাতন করবে না বলিয়া একটি অঙ্গিকার নামা প্রদান করেন। অন্যদিকে শাহিন ২০১৮ সালে শাহরাস্তি থানা, চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে মা বাবা ছোট ভাই বোনদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন পরবর্তীতে প্রত্যেকটি মামলা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক হওয়ায় শাহিন ও তার স্ত্রী সোনিয়া সুলতানা কে আর্থিক জরিমানা আদায় পূর্বক মামলাগুলো খারিজ প্রদান করেন। চলতে থাকে নতুন করে পরিবারের উপর ষড়যন্ত্র ২৯ মার্চ ২০২০ খ্রিস্টাব্দে শাহিন ও স্ত্রী সোনিয়া সুলতানা মায়ের গায়ে হাত তোলেন এবং বেদম মারধর করেন ও শারীরিক মানসিক নির্যাতন করেন আবারো মা বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি গ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন বর্তমানে তা চলমান রয়েছে। আরেকটি ষড়যন্ত্র করে নিজ বিল্ডিংয়ে মা- বাবার নামে দুইটি বিদ্যুৎ মিটার থাকে। শাহিন মিথ্যা আবেদন দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ওই রাতে বসবাসরত বিল্ডিং এর থেকে তার মা-বাবা ও ছোট ভাইবোনদের শাহিনের স্ত্রী-সন্তানসহ মারধর ও মানসিক নির্যাতন করে বের করে দেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকা হইচই পড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে শাহীন ও তার স্ত্রী সোনিয়া সুলতানা মূল বিল্ডিং এর মূল প্রবেশ গেটে ২টি তালা ঝুলিয়ে দেন। তালা ঝুলানোর বিষয়টি এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে জানায়, তারা উপস্থিত হলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। রাতে টহল পুলিশের আশয় নেন সে ক্ষেত্রে টহল পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন পুলিশ বারবার অনুরোধ করেও তালা খোলাতে পারেননি। রাতে অন্যের ঘরে বাবা-মা ভাই-বোন আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে আত্মীয়-স্বজনের চাপে পড়ে বিল্ডিং এর মূল গেটে তালা খুলে দিতে বাধ্য হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দে পুনরায় বিল্ডিং এর মূল ফটক আবারও দুটি তালা ঝুলিয়ে দেন, পুনরায় ছোট ভাই-বোন রিপন ও স্বপন তালা খুলে দেওয়ার বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও থানার অফিসার ইনচার্জ কে অবগত করান এবং বিষয়টি স্থানীয় সালিশ বৈঠকের দিন ধার্য করেন এর মধ্যে শাহীন ও তার পরিবার তালা ঝুলানো ভিডিও করে স্থানীয় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় এবং ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে অবরোধ্য প্রবাসী পরিবারকে উদ্ধার করার জন্য বলেন ও বিষয়টি এসপি সার্কেলকে অসত্য তথ্য প্রদান করিয়া উদ্ধারের নাটক সৃষ্টি করেন। যাহা স্থানীয় প্রশাসন বিভ্রান্ত ও হাস্যকর হয়ে দাড়ায় ।
এলাকার গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে আমরা গ্রান্ডিং মেশিনে তালা কাটা ও হেমার হাতুড়ী দিয়ে তালা ভাঙ্গার সময় আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী সোনিয়া সুলতানা মোবাইলে ভিডিৎ ধারণ করে-সেই ভিডিওটি এডিট করে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। আমরা আমাদের ঘরের তালা খোলার সময় আমার বড় ভাবী বিল্ডিংয়ের ভিতর থেকে আমাদের গায়ে কয়েকবার ফুটন্ত গরম পানি নিক্ষেপ করে যাতে তালা খুলতে না পারি। ৪দিন পর ২৯/০৯/২০২০ইং তারিখে বৈঠকের দিন ধার্যস করা হয়। বৈঠকের দিন আসতে না আসতেই আমার বড় ভাই শাহিন ঘটনাটি এসপি সাহেবকে অবগত করেন। এসপি সাহেব আমাদের পারিবারিক বিষয়টি তদন্তের জন্য তদন্ত ভার সার্কেল অফিসার এবং শাহরাস্তি থানার ওসি সাহেবের উপর দেন। তার প্রেক্ষিতে সার্কেল অফিসার এবং ওসি সাহেব ২৭/০৯/২০২০ইং তারিখে বিকাল সাড়ে ৪টার সময়ে আমাদের বাড়িতে আসেন এবং আমাদের ঘরে হাউজ বসান রাত ১০টা পর্যন্ত উনারা এই হাউজে সময় দেন। বৈঠকের শেষে সার্কেল অফিসার সিদান্ত দেন যে যেহেতু এই বাড়িটি দলিল সূত্রে বর্তমান মালিক পিতা বেলাল আহমেন ১৭ শতাংশের বড় ছেলে শাহিন ২৪ শতাংশের এবং ছোট তিন ছেলে সাঈদ আলী স্বপন, রেজোয়ান হোসেন রিপন, ফারুক আহম্মেদ একত্রে ৪৬ শতাংশের।
আমার বড় ভাই শাহিন ও তার স্ত্রী সোনিয়া সুলতানা আমার বাবাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক মানবিক নির্যাতন, আমাদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও বিভিন্ন গন মাধ্যম কর্মীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করাইয়া আমাদেরকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে। আমি ও আমার পরিবারের সকল তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট শাহিন ও তার স্ত্রী সোনিয়ার এহেন কর্মকান্ডের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবী জানাই।