মনিরুল ইসলাম মনির :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরন প্রকল্পের সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করা হয়।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর প্রাণিসম্পদ অফিস এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ. এম. জহিরুল হায়াতের সভাপতিত্বে ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. তামিম মাহমুদ হেলাল এর পরিচালনায় উপকরণ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী গাজী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান প্রধান।
এম এ কুদ্দুস বলেছেন, বর্তমান সরকার এ খাতের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এই উপখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষ গতানুগতিক পদ্ধতিতে গবাদিপশু-পাঁখি লালন পালনে অভ্যস্ত, যদিও এ কর্মকান্ডসমূহের অধিকাংশই প্রযুক্তি নির্ভর। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর গবাদিপশু-পাখি পালনে উন্নত প্রযুক্তি উদ্বাবন, এর ব্যবহার ও সম্প্রসারণ, খামারিদের সচেতনতা বৃদ্ধি, খামারের জীব নিরাপত্তার উন্নয়ন, রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, মার্কেট চেইন উন্নয়ন, উন্নত ঘাস চাষ, উন্নত জাতের সিমেন ব্যবহার করে গবাদিপশুর জাত উন্নয়নসহ নানাবিধ কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে গবাদিপশু-পাঁখি লালন পালনে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে খামারিদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে যা দেশে দুধ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গাভীর দুধ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর আদর্শ খাদ্য যা জাতীর মেধা বিকাশের জন্য প্রয়োজন। গাভী পালনের মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র হ্রাসকরণসহ অর্থনৈতিক সচ্চলতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।
এমএ কুদ্দুস বলেন, উৎপাদিত দুধ বিক্রি করে দৈনিক নগদ অর্থ উপার্জন করা যায়। দুধ থেকে ঘি, মাখন, ননী, মাঠা, ঘোল, চিজ, দধি, মিষ্টি, ছানা, লাচ্চি, বোরহানি, মন্ডা, রসমালাই, ক্ষীরসা, চকলেট সহ আরো অনেক ধরনের সুস্বাদু খাদ্য তৈরী হয়।
তিনি আরো বলেন, আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হলে গোবর থেকে জৈব সার এবং বায়োগ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব। এর মাধ্যমে নিজস্ব জ্বালানী চাহিদা মেটানো যায়, পরিবেশ সংরক্ষনে ভূমিকা রাখা যাবে এবং গবাদিপশু পালনকারীগণ অর্থনৈতিকভাবে সচ্চল হবে।