• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন

ফরিদগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী হামলা আহত ১, থানায় অভিযোগ

আপডেটঃ : বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২০

 

শিমুল হাছান:

ফরিদগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ও সাংবাদিকদেরকে বক্তব্য দেওয়ায় মাদক বিক্রেতার অতর্কিত হামলায় আহত হয়েছে ১ জন।

জানাযায়, উপজেলা সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ভূলাচৌ এলাকার ইউছুফ বেপারী স্বীকৃত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। ইতোপূর্বে মাদকসহ কয়েকবার পুলিশ তাকে গ্রেপতার করলেও অদৃশ্য ক্ষমতার বলে জামিনে ছাড়া পায়। জেল থেকে বের হয়েই পূনঃরায় আবারো শুরু করে মাদক বিক্রি। তার বিরুদ্ধে ডজন খানেক মাদক মামলা রয়েছে। মধ্য রাত থেকে গভীররাত পর্যন্ত চলে তার মাদকের রমরমা বানিজ্য। তার বাড়ির সামনেও আশপাশে থাকে গাড়ীর লম্বা লাইন, উপজেলা ও পাশ^বর্তী উপজেলা থেকে মাদক সেবক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়তই ঘুরাফেরা লক্ষনীয়। তার এহেন কার্যকলাপে বাড়ির লোকজন অতিষ্ঠ। তাকে ডাক দিলেও কোন কর্নপাত না করেই বিভিন্ন ভাবে লোকজনকে হুমকি প্রদর্শন করে।

৮ এপ্রিল রাতে পাশ^বর্তী হিন্দু বাড়িতে বিশুর গরু চুরি হয়েছে বলে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী কামরুলসহ কয়েকজন মিলে হিন্দু বাড়ির বাগানে বাঁধা অবস্থায় গরুটি উদ্ধার করে মালিকের কাছে হস্তান্তর করে। তৎসময় মাদক ব্যবসায়ী ইউছুফসহ ছোট ভাই বাগান থেকে বের হয়েই কামরুলকে লাঠিসোটা দিয়ে এলপাতাড়ী মারতে থাকে এবং তাকে দা দিয়ে কোপ দিলে হাবিব নামে একজন ধরে পেলে। এ ব্যাপারে কামরুল থানায় অভিযোগ করায় ইউসুফের ফুফাতো ভাই স্থানীয় মুন্সীর হাট বাজার কমিটির ভাই সভাপতি খোরশেদ মজুমদার কামরুলের বড় ভাই সহিদ বেপারীকে বেদঢ়ক মারধর করেছে বলে এ প্রতিনিধিকে জানায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম মজুমদার বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ইউছুফ ও তার পরিবারের কারনে পুরো এলাকার যুবসমাজ আজ দংশের মূখে। এলাকা ও বাড়ির কেউ যদি তাদের কিছু বলতে গেলে বহিরা গত লোক দিয়ে তাদের উপর হামলা করে। ইউছুফ ইতোপূর্বে কয়েকবার মাদক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও কোন অদৃশ্য ক্ষমতার বলে জামিনে বাহির পূনঃরায় একই কার্যকলাপ শুরু করে। কামরুলকে মেরেছে আমি বিষয়টি যেনেছি।

একই বাড়ির শাহ্ জাহান, হাবিব বেপারী, মাসুদ বেপারী সহ অনেকেই বলেন, আমাদের বাড়িতে শুধু মাত্র এই পরিবারের জন্য আমাদের জীবন জাপন করা দুর্বিশহ হয়ে উঠেছে। তাদের কারনে আমাদের ঘরে থাকা মা-বোনেরা আতংকিত থাকে সব সময় । আমরা প্রশাসনের কাছে তাদের কঠিন স্বাস্থি ও বিচার চাই। এমনকি গত কয়েকদিন পূর্বে আমাদের পাশের বাড়ির গরু চুরি ও বিভিন্ন সময় মাদক বিক্রিতে কামরুল বাঁধা দেওয়ায় ইউছুফ, বাবা, ভাইরা সহ কামরুল হাছানকে মারার জন্য দেশীয় অস্রসস্র্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে খোরশেদ আলম জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের নির্দেশনা না মেনে বাজারে দোকান খোলা রাখায় আমি তাকে একাধিক বার ডাক দিলেও সহিদ বেপারী কর্নপাত করেনি। আমার সাথে তার যে বাকবিতন্ডা হয়েছে, আমরা তা সমাধান করে পেলেছি।

থানা তদন্ত কারী অফিসার এ.এস.আই ইলিয়াস উদ্দিন জানায়, অভিযুক্ত উইছুফ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে এবং বিগত সময়ে মাদক সহ তাকে একাধিক বার পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…