শিমুল হাছান:
ফরিদগঞ্জে ২ জন অফিসার দিয়েই চলছে ৪১ হাটবাজার মনিটরিং, বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। মরনঘাতী করনো ভাইরাসকে পূজি করে ফরিদগঞ্জে অসাধু ব্যবসায়ীদের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের অহেতুক অজুহাতে চড়া মূল্য ঠেকাতে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন। তবে চাঁদপুর জেলার মধ্যে সবছাইতে বড় ঘনবসতিপূর্ন এই উপজেলার ৪১টি বাজারে লাগামহীন ভাবে বেড়ে উঠা, পন্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনে রাখতে গিয়ে সরকারি জনবল সংকটের কারনে প্রশাসনের হিমশিম অবস্থা।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে, দেশের সর্বত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-পন্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। সরকারের এই ঘোষনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে একশ্রেনীর অসাধূ ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বাড়াচ্ছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম।
২১ মার্চ শনিবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তারের নের্তৃত্বে পুলিশসহ উপজেলা গাজীপুর বাজার ও চান্দ্রা বাজারে বেশী মূল্যে পন্য বিক্রি ও দোকানে মূল্যে তালিকা সাঁটানো না থাকায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে ৭ ব্যবসায়ীকে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। গতকাল শুক্রবার ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদর বাজারে ৩টি দোকানীকে ও খাজুরিয়া বাজারে ২ দোকানিকে মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এসময় বালিথুবা ইউনিয়নের একজন প্রবাসী কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলেন, এখনই যদি সঠিক ভাবে বাজার মনিটরিং করা না হয় তাহলে সাধারন খেটে খাওয়া সল্প-আয়ের মানুষ চরম দুর্রভোগের শিকার হবে।
এ নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিষ্টেট , উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার জানায়, এ নিয়ে আমরা গত ২দিনে মোট ১২টি দোকানিকে ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। তিনি আরো বলেন, জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান উপজেলা প্রতিটি বাজারে পর্যায়ক্রমে চলবে। কেউ নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যর দাম বেশী নিলে ৯৯৯ নাম্বার ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের কাছে মোবাইলে কিংবা লিখিত ভাবে অভিযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
ফরিদগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি এ প্রতিনিধিকে বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উপজেলার প্রতিটি বাজারেই আমরা প্রতিদিনই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। তিনি আরো বলেন, জনবল সংকটের কারনে উপজেলার ৪১ টি হাটবাজারে আমি এবং এসি ল্যান্ড (ভূমি) মোবাইল কোর্ট চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে বাজার মনিটরিং করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। শুধু প্রশাসনই নয় প্রত্যেকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে দ্বায়িত্ববান হতে হবে ।
এ নিয়ে গতকাল উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এ বৈঠকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, জনবল সংকটের কারনে জরুরী মূহুর্তে উপজেলায় মোট ৪১ টি হাটবাজারে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দোকান গুলোতে তদারকি করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে প্রশাসনের। যার ফলে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব থামাতে হিমশিম খেতে হয় সংশ্লিষ্টদের। এক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগন সোচ্চার না হলে প্রতিনিয়িত প্রতারিত হতে হবে অসাধূ ব্যবসায়ীদের কারসাজির কাছে সাধারন জনগন।