অমরেশ দত্ত জয়ঃ
চাঁদপুর শহরের কদমতলায় চিরকুট রেখে এক এইচএসসি পরিক্ষার্থী গলায় ফাঁশ দিয়ে আত্মহত্যা ঘটিয়েছে।১৮ই মার্চ বুধবার সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো ওই ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।আত্মহত্যা ঘটানো ওই পরিক্ষার্থীর নাম মিতা রানী সরকার।সে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী।তার পিতার নাম হরিমোহন সরকার।এদিকে মিতা রানী সরকারের বড়বোন কবিতা রানী জানান, আমি ও আমার স্বামী সবুজ হাওলাদার এখানে ভাড়া থাকি।আমাদের সাথে আমার বোন মিতাও এখানে প্রায়ই এসে থাকতো।আমার
স্বামী ফরিদগঞ্জ উপজেলার বৈজাতলী গ্রামের ফার্মেসী ব্যবসায়ী।তিনি আরো জানান,মিতা গেলো বছর এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়।তাই সে এবারো পুনরায় পরিক্ষায় অংশ নিতে ফরম ফিলাপ করে।ও পড়ালেখাতেও বেশ আগ্রহী হয়ে উঠে।এদিকে আত্মহত্যা করা মিতার দুলাভাই সবুজ হাওলাদার জানান,আমার স্ত্রী কবিতা ও শালিকা মিতা কয়েকদিন পূর্বে কচুয়া মাছিমপুর বাজার এলাকায় বেড়াতে যায়।১৭ই মার্চ মঙ্গলবার মিতা সেখান হতে চাঁদপুরে প্রয়োজনীয় বই রেখে এসেছে জানিয়ে ফ্লাট বাসায় আসে।আর এরপর বুধবার লোকমারফতে এই আত্মহত্যার খবরটি আমরা পাই।মূলত ঘটনার সময় আমরা কেউই ফ্লাট বাসায় ছিলাম না।এদিকে এই ঘটনা পরিদর্শন শেষে পিবিআই চাঁদপুরের ইন্সপেক্টর কবির আহমেদ জানান,আমরা গলায় ফাঁশ দেওয়া ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করেছি।মেয়েটির একটি চিরকুট ওই কক্ষ থেকে পেয়েছি।যাতে লেখা ছিলো ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’।তিনি আরো জানান,মৃত মিতা কোন ফোন ব্যবহার করতো কিনা! আর সেই ফোনে কারো সাথে কথা বলেছে কিনা? বা এই চিরকুট টি তার লেখা কিনা? বা ঘটনাটি রহস্যজনক কিনা এই সব বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে আমরা লাশটিতে অনেকটা রক্ষক্ষরণ দেখতে পাই। আমরা লাশের ঘটনায় সব রকমের আলামত সদর মডেল থানায় জমা দিয়েছি।