• মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ অপরাহ্ন

চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

 

অমরেশ দত্ত জয়ঃ
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান শহরের বেশ কিছু কেন্দ্রে গিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে হল পরিদর্শন করেছেন। ৩ ফ্রেব্রুয়ারি সোমবার তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ ফাতেমা,জেলা মার্কেটিং অফিসার এন এম রেজাউল ইসলাম সহ এই হল পরিদর্শন করেন। জানা যায়,চাঁদপুর জেলায় চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষায় মোট ৭১ কেন্দ্রে বসছে সাড়ে ৩৫ হাজার পরিক্ষার্থী। আর তাই পরীক্ষা নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে কোচিং সেন্টার বন্ধসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্নফাঁসের গুজবে কান না দিতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা যায়,জেলার ৮ উপজেলায় ৪৪ কেন্দ্রে মোট এসএসসি পরিক্ষার্থী ২৭ হাজার ১’শ ৯৪। এর মধ্যে ছাত্র ১১ হাজার ৩’শ ৭৮ এবং ছাত্রী ১৫ হাজার ৮’শ ১৬ জন।দাখিল পরীক্ষায় মোট ১৭ কেন্দ্রে পরিক্ষার্থী ৭ হাজার ২’শ ৬৪ জন।এতে ছাত্র ৩ হাজার ৮৫ জন এবং ছাত্রী ৪ হাজার ১’শ ৭৯ জন। আর ভোকেশনালে মোট ১০ কেন্দ্রে ১ হাজার ৪’শ ৫৬ জন পরিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। যার মধ্যে ছাত্র ৯’শ ৮৮ জন এবং ছাত্রী ৪’শ ৬৮ জন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা শাখার উচ্চমান সহকারী নেছার আহমেদ তপাদার জানান,এবার এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষায় মোট ৭১ কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৯’শ ১৪ জন পরিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্র ১৫ হাজার ৪’শ ৫১ জন এবং ছাত্রী ২০ হাজার ৪’শ ৬৩ জন। অন্য এক তথ্য মতে,অন্যান্যবারের মতো এবারও পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করে নির্ধারিত আসনে বসার নিয়ম রয়েছে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হলে রেজিস্ট্রারে নাম, ক্রমিক নম্বর ও দেরির কারণ উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে পাঠাতে নির্দেশনা রয়েছে। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবে না। সেই সাথে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমন একটি ফোন ব্যবহার করবেন। যা দিয়ে ছবি তোলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। আরো জানা যায়,ট্রেজারি বা থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-শিক্ষক-কর্মচারীরাও কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল ফোনের সুবিধা সহ ঘড়ি, কলম সহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা শাখার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল মোর্শেদ জানান,পরিক্ষার্থীর অনুপস্থিতিরোধে আমরা এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে নজর রেখেছি। তবুও অনেক সময় সচেতনতার অভাবে বাল্যবিবাহের জন্য মেয়ে শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত থাকে। আমরা পরিক্ষার্থীর অনুপস্থিতিরোধে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুতি রাখছি।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…