গাজী মমিন:
বাবার মতোই সাদা মনের মানুষ তিনি। নেই অহংকার নেই কোন দাম্বিকতা। সাথে নেই কোন পুলিশ কিংবা মোটর সাইকেলের মহড়া। তাকে দেখে কিংবা তার কথা শুনে মনেই হয়নি তিনি দেশের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের সুযোগ্য সন্তান রাসেল আহমেদ তুহিন। তার আচরন ও ব্যবহারে মুগ্ধ সবাই। অথচ এই মহান ব্যক্তিটি ফরিদগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নের গল্লাক এলাকায় থেকে গেলেন তিনদিন। যা আগে থেকে কেউই জানেন না।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, তিনদিন যাবৎ উপজেলার গল্লাক এলাকার গণমানুষের সাথে গোশগল্প করে সময় কাটান। সারাদিন সখের বসে বড়শি বেয়ে মাছ ধরেছেন। ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন টংয়ের চায়ের দোকানে সাধারণ মানুষের সাথে বসে চা পানে আনন্দ উল্লাসে সময় দিয়েছেন। ওই এলাকার গল্লাক বাজারে ৪ তলা বিশিষ্ট একটি জামে মসজিদের নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।
উক্ত মসজিদের নির্মান কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন উপলক্ষে গত বুধবার বিকেলে গল্লাক বাজারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উক্ত মসজিদ কমিটির সভাপতি সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব ফয়েজ আহাম্মেদ মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সুযোগ্য সন্তান মো. রাসেল আহমেদ তুহিন তার বক্তব্য ফরিদগঞ্জবাসীর আতিথিয়তায় মুগ্ধ হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, এখানে ফয়েজ আহমেদ মোল্লার মহতি উদ্যেগে অত্যাধূনিক মানের মসজিদ নির্মানের জন্য আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষকে দিয়ে এই মসজিদ নির্মানের শুভ উদ্বোধন করা হবে, এটা আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি। এটা আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ অর্জনের মধ্যে একটি বলে আমি মনে করি। তিনি উপস্থিত জনতার কাছে তার বাবা ও মায়ের জন্য দোয়া প্রার্থনা করে আরো বলেন, এই মসজিদটির প্রথম তলার কাজ শেষে জুমার নামাজ আদায় করার ইচ্ছে পোষন করেছেন রাষ্ট্রপতির ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক হুমায়ুন আহামেদ কবির, প্রবীন রাজনীতিবিদ আব্দুর রশিদ পাটওয়ারী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী মজুমদার, খোকন আখন্দ,প্রেসক্লাব ফরিদগঞ্জের দপ্তর সম্পাদক ও আওয়ামী গুনীজন স্মৃতি সংসদের সভাপতি আবুল হাসনাত হাশেম প্রমুখ।