মো.শিমুল হাছান.
দীর্ঘ ১৭ বছর পর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং দক্ষিণ ইউনিয়নের ভোট সম্পূর্ণ হয়েছে। ভোটারগণ শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের ভোট প্রদান করে সবাই আনন্দিত।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সবেক নুরু চেয়ারম্যান-এর ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুব লীগের সাবেক আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন (রিপন) এর কাছে পারজিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল আলম খান (সোহেল) ।
বৃহষ্পতিবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাচন অফিসে ফলাফল ঘোষনা অনুযায়ী আলমগীর হোসেন রিপন (প্রতীক আনারস) ৪৪৯০ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী সাইফুল আলম সোহেল খান (প্রতীক নৌকা) পেয়েছেন ২৮৬৭ ভোট। ১৬২৩ ভোটে পরাজিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। এছাড়া নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আলী আকবর (প্রতীক চশমা) প্রাপ্ত ভোট ১৬৬১ ভোট, রেজাউল করিম(প্রতীক টেলিফোন) প্রাপ্ত ভোট ১১৯ এবং শফিকুর রহমান(প্রতীক মোটর সাইকেল ৭৯)। সর্বমোট ভোটারগণ ৯৬৮১ ভোট দিয়েছে। এর মধ্যে বাতিলকৃত ৪৬৫ ভোট।
সংরক্ষিত আসনে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন ১,২,৩নং ওয়ার্ডে ঝর্ণা বেগম (প্রতীক সূয্যমুখী ফুল) প্রাপ্ত ভোট ১১০২ ভোট, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে শিরিন আক্তার (প্রতীক বই) প্রাপ্ত ভোট ১৮০৩ এবং ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে মোসাম্মদ জাহানারা বেগম (প্রতীক মাইক) প্রাপ্ত ভোট ১১৫৪। এর মধ্যে ৮ নং ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষনা নিয়ে অভিযোগ রেয়েছে বলে জানাগেছে।
সাধারণ আসনে মেম্বার পদে বিজয়ী হলেন যারা , ১নং ওয়ার্ডে ইমরান হোসেন মিজি (আপেল মার্কা), ২নং ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলাম (ফুটবল মার্কা), ৩নং ওয়ার্ডের মোস্তফা পাটওয়ারী (টিউবওয়েল মার্কা) , ৪নং ওয়ার্ডের নান্টু পাটওয়ারী (টিউবওয়েল মার্কা) , ৫নং ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন (ফুটবল মার্কা), ৬নং ওয়ার্ডের মাইনুল ইসলাম রাসেল (তালা মার্কা), ৭নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর হোসেন (মোরগ মার্কা), ৮নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলাম বাচ্চু (বৈদ্যতিক পাখা মার্কা) এবং ৯নং ওয়ার্ডের ইসমাইল হোসেন (তালা মার্কায় ) নির্বাচিত হয়েছে।