নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জ ডায়াবেটিক (প্রাঃ) হাসপাতালে বুধবার সকালে চিকিৎকের অবহেলায় সুমি নামের এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সরেজমিন ডায়াবেটিক প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, জসিমউদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫) কে মঙ্গলবার রাত ১২টায় হাসপাতালে পেটের ব্যাথা জনিত কারণে ভর্তি করা হয়। রাতে ডাক্তার আসেনি এমনকি সকালে ১১টার দিকে ডাক্তার এসে আল্ট্রাসোনো করানোর পর হুইল চেয়ারে করে বেডে নেওয়ার সময় মৃত্যু ঘটে।
সুমির স্বামী বাচ্ছু মিয়া ,দেবর মনির হোসেন ও সৈয়দ আহাম্মদ জানায়, ভর্তির পর রাতে ৩/৪ বার ফোন করে ডাক্তারের খবর নেই। ডাক্তার রাতে আসেনি। পরের দিন বুধবার সকালে ৪/৫ বার ফোন করলে ১১টার সময় ডাক্তার এসে আল্ট্রা করানোর পর রিপোর্ট দেখে ঢাকায় রেফার করে। রাতে গ্যাসটিকের ও ব্যাথার দু‘টি ইনজেকশান করা হয়। ডাক্তারের অবহেলায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের ফলে সুমির মৃত্যু হয় বলে দাবী করেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সত্বাধীকারী ও ডাক্তার মোঃ সাদেকুর রহমান জানান, চিকিৎকের অবহেলায় নহে রোগীর অসচেতনতাই মৃত্যুর জন্য দায়ি বলে দাবী করেন। দির্ঘসময় আপনারা ডাক্তার না দেখিয়ে কাল ক্ষেপন করার কারণকি মৃত্যুর জন্য দায়ি নহে ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাতে সবসয়মই আমাদের ল্যাব বন্ধ থাকে । এ জন্য সকাল ৯ টায় আমার স্ত্রী গাইনী ডাক্তার ফারহানা ইসলাম নিপা আল্ট্র সোনোগ্রাফি রির্পোট দেখে ঢাকায় নিতে পরামর্শ দেন। সুমি ২২ সপ্তাহের অন্ত:স্বত্ত্বা ছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন জানান, জেলা সিভিল সার্জকে অবহিত করা হয়েছে। মৃত্যুও কারণ অনুসন্ধাণ পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রকিব জানান, ঘটনার বিষয জেনেছি, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা সিভিল সার্জন(ভারপ্রাপ্ত) ডাক্তার একেএম মাহাবুবুররহমান মোবাইল ফোনে জানান, আমরা এ ঘটার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।