স্টাফ রিপোর্টারঃ
চাঁদপুরের বাবুরহাটে এক অসহায় কন্যা সন্তান তার পিতার নিকট থেকে ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে।শুধু তাই নয়,পাশাপাশি স্থানীয় একটি চক্র তাকে সহ তার পরিবারকে উৎখাত করতে বিভিন্ন সময় দিচ্ছে প্রাণ নাশের হুমকি-ধমকি। ১৯ ই মার্চ বৃহস্পতিবার এমনি অভিযোগ তুলেছেন শহরতলীর বাবুরহাটের মেয়ে মাকসুদা বেগম সুখী।যার পিতা মন্নান মাল ও মাতা মমতাজ বেগম।ওই পরিবারে তিনি,তার ছোট ভাই বিপ্লব ও আরো এক বোন সাথী রয়েছে।তিনি বলেন,আমার পিতা মন্নান মাল একটি চক্রের ফাঁদে জিম্মি হয়ে গেছেন।তাদের কথায় তিনি আমাদের হয়রানি করতে থানায় পর্যন্ত মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।শুধু তাই নয় পত্র-পত্রিকার সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট লিখিয়েছেন।মূলত ওই চক্রের উদ্দেশ্য- আমার বাবাকে হাত করে আমাদেরকে আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা।তিনি ওই চক্র কারা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন,বাবুরহাটের মাহবুব মাষ্টার ও তার পরকীয়ার সঙ্গী শাহানাজ,মাহবুবের স্ত্রী রোজিনা সহ একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র আমার বাবাকে ফুসলিয়ে আমাদের বিরুধী করে তুলছেন।তারা আমাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে দিচ্ছেন না।একই অভিযোগ তুলে অধিকার বঞ্চিত সুখীর ভাই বিপ্লব মাল বলেন,ওই মাহবুব মাষ্টার শাহনাজের সাথে তার পরকিয়া ঢাকার জন্য বলি বানাচ্ছেন আমাদেরকে।সে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য উঠে পরে লেগেছেন।সে আমার বাবাকে জিম্মী করে আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে উঠে পরে লেগেছেন।তিনি আরো বলেন,আমাদেরকে বর্তমানে বাবুরহাটের রমেশ দে বাড়ির ওয়ারিশদের(হিন্দুদের) জায়গায় রাখা হচ্ছে।যেখানে আমরা কিছু একটা করতে গেলেই প্রশাসন এসে বাঁধা দিচ্ছে।আর এই সবের মূল ইন্দোন জোগাচ্ছেন আমার সৎ মা আয়েশা বেগম ও আর তার সারগীত মাহবুব মাষ্টার,রোজিনা,শাহনাজ,সাজু সহ সঙ্গবদ্ধ চক্র।তারা আমাদেরকে ভিটেমাটি ছাড়া করার পাশাপাশি দেখে নেয়ার হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছেন।আমরা এর প্রতিকার পেতে আইনের শরনাপন্ন হয়েছি।এ ব্যপারে সুখী ও বিপ্লবের মা মমতাজ বেগম জানান,ওই মাহবুব মাষ্টারের ইন্দোনে আমার স্বামী(মন্নান মাল) আমাদের বিরোধী হয়ে উঠেছেন।তার বুদ্ধিতেই আমাদের কে হিন্দুদের মামলা সংক্রান্ত জায়গাতে রাখা হয়েছে।আমরা কোন ঝামেলা যুক্ত জায়গায় থাকতে চাই না।আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে চাই। এদিকে এ ব্যপারে বিপ্লবের ফুফাতো ভাই মুনির জানান,আমার মামা মন্নান মাল ২টি বিয়ে করেছেন।সেখানে বিপ্লবরা হচ্ছে ২য় পরিবারের সন্তান।এখন ওরা ওদের পাওনা হক সামাজিকভাবে বুজে নিতে চায়।এই সুযোগে একটি ৩য় শক্তি তাদের হীয় স্বার্থ হাছিলে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।তারা মামা(মন্নান মাল)কে কোনভাবে জিম্মি করে মামার ১ম পক্ষের স্ত্রী সন্তানকে ইন্দোন দিয়ে বিপ্লবদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।অবশ্য বিপ্লবরাও নিরাপত্তা পেতে সত্য ঘটনা তুলে ধরে পাল্টা অভিযোগ দিয়েছে ডিবি অফিসে।এদিকে অভিযোগের পাল্লা মাহবুব মাষ্টারের দিকে ভাড়ী হওয়ায় তার সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি জানান,সম্পূর্ণ অভিযোগ মিথ্যা।ওরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে নিয়ে এসব মিথ্যা রটাচ্ছে।উল্টো আমরাই আমাদের পাওনা জায়গা বুঝে পাইনি।এসময় তিনি মন্নান মালের কোন দেন-দরবারে পূর্বেও ছিলেন না এবং বর্তমানেও নেই বলেও মন্তব্য করেন।এ ব্যপারে মন্নান মাল অসুস্থ্য হওয়ায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।