মনিরুল ইসলাম মনির :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় অবস্থিত দক্ষিণ শিকিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথসহ মাঠে জলাবদ্ধতা দেখে দিয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম, নৈদিক সমাবেশ ও খেলাধুলা ব্যাহত হচ্ছে।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও জলাবদ্ধতা নিরসনের কোন সাড়া পাচ্ছে না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে বর্ষা এলেই বিদ্যালয়টির মাঠ থাকে পানির নিচে।
বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে পানি থইথই করছে। কোথাও গোড়ালিসম পানি; কোথাও হাঁটু পর্যন্ত। মাঠটি বছরের ছয় মাস জলাবদ্ধ থাকে। এ কারণে কোনো খেলাধুলা হয় না। পাশে কাদা জমে আছে।
কাদাপানির ওপর দিয়েই শিশু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষে আসা-যাওয়া করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দূর্ভোগ নিয়েই বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানিয়েছে, জমাটবন্ধ পানিতে পচা উৎকট গন্ধ ছড়ায়। নাক চেপে বসে থাকতে হয়।
মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি হয় না। বিদ্যালয় ভবনের বারান্দায় আলাদা করে দাঁড় করিয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। ভারি বৃষ্টি হলে জমে থাকা পানি শ্রেণি কক্ষের ভিতরে প্রবেশ করে। তখন পাঠদান ব্যাহত হয়।
জানা গেছে, দক্ষিণ শিকির সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টিতে ৩ জন শিক্ষক ও ১১১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। নদী তীরবর্তী এ বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ের একমাত্র টিউবওয়েলটিও অকেজো হয়ে রয়েছে। শৌচাগারও ব্যবহার করতে পারছে না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা জানায়, বর্ষাকালে ও বৃষ্টি হলে কয়েকদিন তাদের খুব অসুবিধা হয়। কাদা পানিতে সব কিছু একাকার হয়ে যায়। তখন মাঠে খেলাধুলা করতে পারেনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সফিকুল ইসলাম বলেন, পাঠক্রমিক কার্যাবলীতে বিদ্যালয়টি উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। এরপরও বিদ্যালয়ের রাস্তা ও মাঠের জলাবদ্ধতা আমাদের মনে পীড়া দেয়।
অনেক সময় শিক্ষার্থীরা মাঠ পেড়িয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় পা পিছলে পড়ে আহত হয়। প্রতিদিনই নজর রাখতে হয় শিশুদের প্রতি। এ অবস্থায় বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ছেংগারচর পৌরসভার কাউন্সিলর আবদুস সালাম খান বলেন, বর্ষার পানিতে স্কুলে মাঠ ভেসে আছে। এতে শিক্ষার্থীদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। মাঠে মাটি ভরাট’সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।