• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন

ফরিদগঞ্জে বিএনপির মতবিনিময় সভা পন্ড

আপডেটঃ : শনিবার, ৬ জুলাই, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

ফরিদগঞ্জের একটি প্রেসক্লাবে বিএনপি আয়োজিত মতবিনিময় সভাটি অবশেষে পন্ড করতে বাধ্য হয়েছেন আয়োজকরা। দলের দীর্ঘ দিনের সকল ত্যাগী নেতাকর্মীদের না জানিয়ে বিএনপির এমন সভার পক্ষে বিপক্ষে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পড়ে আয়োজকরা ওই মতবিনিময় সভাটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। বিএনপির বর্তমানে লেজে-গোবরে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

শনিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত সভাটি শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি চলতে থাকে দু‘গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। ফলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সভাটি স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন হারুনুর রশিদ মুঠোফোনে জানান, ফরিদগঞ্জের বিএনপিকে আমি সু-সংগঠিত করে রেখেছি। শনিবার জেলা সাংগঠনিক টিমের আয়োজিত সভাটিতে মূলতঃ বিএনপির ত্যাগী নেতাদের উপযুক্ত সম্মান না দেওয়ায় নেতা-কর্মীরা ক্ষুর্দ হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সভাটি স্থগিত করে দেয় আয়োজকরা। আমি দীর্ঘদিন মামলা –হামলা থেকে নেতা-কর্মীদের সকল ধরণের সহযোগীতা ও আশ্রয় দিয়ে সংগঠনকে টিকিয়ে রেখেছি। তাই এখনও ফরিদগঞ্জে কোন ধরণের বিশৃংখলা করার সুযোগ দেওয়া হবে না। প্রকৃত নেতা-কর্মীদের অব-মূল্যায়ণ ভবিষ্যতে সাংগঠনিক অশনি শংকেত বলা চলে।

উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান দুলাল জানান, উপজেলা বিএনপির একটি সাংগঠনিক সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি ও সেক্রেটারী এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও এ্যলিট পারসনদের নিয়ে। সভা চলাকালিন লায়ন হারুনুর রশিদের লোকজন এসে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চাইলে সভাটি স্থগিত করে দেওয়া হয়।

উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মফু জানান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক টিমের যুগ্ন আহবায়ক ও ফরিদগঞ্জ থানার সাংগঠনিক আহবায়ক এড. সেলিমুছ সালাম,মুনির চৌধুরী ,বাবর ,জলিল ও কামালসহ ৮/১০ জনের একটি টিম এসেছে কমিটি গঠনের জন্য প্রস্তুতি সভা করতে। সভায় বিধি মোতাবেক ইউনিয়ন সভাপতি ও সেক্রেটারীদের শুধুমাত্র থাকার কথা। কিন্তু সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন হারুনুর রশিদ প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ১০/১৫জন করে ক্ষেত মজুর এনে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চাইলে জেলা নেতৃবৃন্দ সভাটি স্থগিত করে চলে যান। তাছাড়া ওনারা জেলা কমিটির নিকট এ বিষয়ে রিপোর্ট করবেন বলে জানাযায়।

অপর গ্রুপের নেতা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শিল্পপতি এম.এ হান্নানকে একাধিকবার মুঠোফোনে বক্তব্য নিতে চেয়ে ফোন দিলে মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে থানার ওসি আব্দুর রকিব জানান, বিএনপির দু‘গ্রুপের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এতে পরিস্থিতি আশংকাজন দেখে সভাপটি বন্ধ করে দিতে অনুরোধ করি। তাছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায়ে রাখতে বলা হয়েছে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…