গাজী মমিন,(চাঁদপুর) ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনার পরপর অভিযুক্ত ধর্ষক বখাটে জামাল হোসেন(২৮)পালিয়ে গেলেও একই দিনে ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
বিকেল ৩টায় মামলাটির প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করে মামলাটি আমলে নিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এর নেতৃত্বে সহকারি সাব ইন্সপেক্টর সিকদার হাসিবুর রহমান, আমির হোসেন সহ সঙ্গীয় ফোর্স এর সহযোগীতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। পরবর্তিতে রাত নয়টায় আসামী জামাল হোসেনকে উপজেলার বিরামপুর এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরদু:খিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের লাড়াইচর গ্রামে ৮ মে শনিবার সকালে। ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি মাসরাসায় ৭ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
থানায় এজহার ও স্থানীয়দের থেকে পাওয়া তথ্য সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে লড়াইচর গ্রামের ওই শিক্ষার্থী ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সামনের রাস্তায় যায়। এসময় ৩ সন্তানের জনক পেশায় রাজমিস্ত্রি বখাটে জামাল হোসেন তাকে একা পেয়ে পেছন থেকে ঝাপটে ধরে মুখ চেপে পাশের দেওয়ান বাড়ির বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিক্ষার্থীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত জামাল হোসেন পালিয়ে যায়।
এরপর অভিযান চালিয়ে রাত নয়টায় তাকে আটক করে পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে শনিবার বিকালে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামী জামাল হোসেন দু’টি বিবাহ করেছেন,সে ৩ সন্তানের জনক হলেও বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরেছেন।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত জামাল হোসেনকে এঘটনা সংগঠিত করারপর সে পালিয়ে ছিলো। পুলিশি বিশেষ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীকে পরবর্তি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হবে। ভিক্তিমকে আইনানুগ পক্রিয়া শেষে তার মায়ের জিম্মায় পোঁেছ দেয়া হয়েছে।
এদিকে মাত্র ৬ ঘন্টার ব্যবধানে নেক্কার জনক এ ঘটনার আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসায় স্থানীয় সচেতন মহল পুলিশি কার্যক্রমের ভূইসী প্রশংসা করেন।