• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন

সারাদেশে গ্রেপ্তার বন্ধ ও কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার আর্জি হেফাজতের

আপডেটঃ : বুধবার, ৫ মে, ২০২১

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য হেফাজতের নেতারা মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে প্রবেশের আগমুহূর্তে। ছবি: সংগৃহীত

মানবখবর ডেস্ক:

সারাদেশে গ্রেপ্তার বন্ধ ও কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন হেফাজত নেতারা। মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সরকারি বাসভবনে দেখা করে হেফাজতের আট নেতা এই অনুরোধ জানান। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

এর আগে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হেফাজতে ইসলামের আট নেতা ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যান। রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তারা বৈঠক শেষে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। জানা যায়, এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ ম উবায়দুল মোক্তাদিরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় ছিলেন। হেফাজত নেতাদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের বিলুপ্ত কমিটির মহাসচিব ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদি।

বৈঠকে তারা হেফাজতের নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ৪ দফা দাবি মন্ত্রীকে জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো-

১. হেফাজতের গণআন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে গ্রেফতার হওয়া আলেম ও সাধারণ মানুষকে দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করা।
২. দেশব্যাপী গ্রেফতার অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। ফলে পবিত্র রমজান মাসে ইবাদত বন্দেগি করতে না পেরে অজানা আতঙ্কে দিন পার করছে মানুষজন। গ্রেফতার আতঙ্ক ও হয়রানি থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া।

৩. ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে যে সব মামলা হয়েছিল, পূর্বের আলোচনা অনুযায়ী মামলাগুলো প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা।

৪. দ্রুত কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া।

হেফাজতের সাবেক মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীর বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো মন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন, আশ্বাস দিয়েছেন।’

গত রবিবার রাতেও হেফাজতের সাবেক দুই যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দীন রুহী ও মুফতি ফয়জুল্লাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসায় সাক্ষাৎ করেছিলেন।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম, হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, হেফাজতের নেতা ও খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ও তার ভাতিজা মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীসহ ছয় থেকে সাতজন। পরবর্তীতে হেফাজতের ওই কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে হওয়া বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনার পর সরকার হেফাজতে ইসলামের ওপর কঠোর অবস্থান নেয়। মাসখানেক ধরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর একাধিকবার হেফাজত নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…