মানবখবর : হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবালকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক বাবু ঝন্টু দাস।
নিজস্ব প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবালকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা যুবলীগ। রোববার দুপুরে রোটারী ক্লাব অব হাজীগঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলতে ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলন অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক বাবু ঝন্টু দাস।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট ও সাহসি নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তখনি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি হেফাজত ইসলামী নামধারী ধর্মান্ধরা দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করার লক্ষে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা সংঘঠিত হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা ও ভাংচুরসহ দেশ বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
মুজিব আদর্শের সৈনিকদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে উল্লেখ করে বাবু ঝন্টু দাস বলেন, হেফাজতে ইসলাম মাসুদ ইকবালকে হুমকি দেয় নাই, তারা যুবলীগকে হুমিক দিয়েছে। তবে আওয়ামী যুবলীগ এসব হুমকি-ধমকিতে ভয় পায়না। যুবলীগ এক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে তা আইনিভাবে এবং রাজপথে থেকে মোবাবেলা করবে। এ সময় তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে হুমকিদাতারে খুঁজে বের করে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান
এর আগে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে দেশে বন্ধুপ্রতীম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানতার অবস্থানকালীন সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াত-বিএনপির মদদপুষ্ট হেফাজত ইসলাম দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ধ্বংসাত্মক ও রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রম শুরু করে।
তিনি বলেন, ঠিক যেভাবে ১৯৭১ সালে পাক বাহিনী বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত করেছিল, সেই একই কায়দায় হেফাজতে ইসলাম এই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে এবং বিভিন্নভাবে অপপ্রচার করছে। যা দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের শামিল। তার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামছ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল ইসলাম খান নিখিলের নির্দেশনায় দেশব্যাপী যুবলীগ প্রতিবাদ মিছিল করে।
মাসুদ ইকবাল বলেন, কেন্দ্রিয় নির্দেশনা মোতাবেক আমি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হিসেবে যুবলীগ ও যুবলীগের সকল কর্মকান্ডের নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। তারই ফলশ্রুতিতে গত ১৩ এপ্রিল আমার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে অজ্ঞাতনাম ব্যক্তি ০১৮২০-৯১৮১৮১ নম্বর থেকে ফোন করে হেফাজত কর্মী পরিচয় দিয়ে আমাকে গলা কেটে হত্যার হুমকি দেয়। এই ঘটনায় উপজেলার সদর ইউনিয়ন পূর্ব যুবলীগের সভাপতি মো. ওমর ফারুক খান আমার পক্ষ হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় গত ১৫ এপ্রিল একটি সাধারণ ডায়েরি (নং- ৬৭৩) করেন।
তিনি আরো বলেন, জিডি করার দিন আবারো ০০৯৭১৫২৩১৬৬৬ হতে আবারো আমাকে হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় আমি ও আমার সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দসহ হেফাজত ইসলামের এহেন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং হুমকিদাতাদের দ্রুত খুঁজে বের করে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন আল আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের আরো বক্তব্য রাখেন, জিডির বাদী ও সদর ইউনিয়ন পূর্ব যুবলীগের সভাপতি মো. ওমর ফারুক খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য নাজমুল আহসান নয়ন, নজরুল ইসলাম, মো. মাসুদ হোসেন, মো. জসিম উদ্দিন, এম.আই. কে তুষার, বাদল হোসেন, মো. রাশেদ প্রমুখ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লোটাস মো. দেলোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি ইলিয়াছ আলী মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সুমন, সদর ইউনিয়ন পশ্চিম যুবলীগের সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম মুন্সী।
উপস্থিত ছিলেন, হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আমিনুল হক বাবলু, যুগ্ম আহবায়ক কামাল হোসেন বেপারী, সদর ইউনিয়ন পূর্ব যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ প্রধানীয়া সুমন, কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক শ্যামল দাস, বাকিলা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ইব্রাহিম খান রনি, সদস্য রাকিবুল ইসলাম, রাজারগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শাহনেওয়াজ মুন্সী, দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা এম. কে শামীম প্রমুখ।