অমরেশ দত্ত জয়ঃ
চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোডে ভেকু দিয়ে মাটি খনন করায় মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুর রশিদ খানের মালিকানাধিন নাহার ভবনের (৪তলা) ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবনটি হেলে পড়ার আতংকে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ারা অন্যত্র মালামাল নিয়ে সরে যাচ্ছে।
২২শে মার্চ সোমবার দুপুরে রাস্তা থেকে ভবন দেবে যাচ্ছে এই ধরনের চিৎকার করলে ভবনে থাকা লোকজন দ্রুত বেড়িয়ে আসেন এবং মালামাল অন্যত্র সড়িয়ে নেন।
সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচ শামসুদ্দৌহা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি মো. মেহেদী হাসান মানিক, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তন্ময় ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রোবরার (২১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির পাশে নূর মোহাম্মদ দর্জির ১০ শতাংশ জায়গার উপর ভেকু দিয়ে ১০ ফুট মাটি খনন করার কাজ চালাচ্ছিলেন। হঠাৎ ৪ তলা বিশিষ্ট নাহার ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়।
নাহার ভবনের মালিকের ছেলে জসিম উদ্দিন বলেন, নতুন ভবন করার জন্য দিনরাত ২৪ ঘন্টা ভেকুর কাজ চলছিলো। আমার বাসায় থাকা লোকজন প্রথমে মনে করেছিলো হয়ত ভূমিকম্প হয়েছে। পরে নিচে এসে ঘটনাটি বুঝতে পেরে দ্রুত বাড়ির সবাই বাহিরে চলে আসেন। রাতে সবাই বাড়ির বাহিরে ছিলো। সকালে সবাই পুনরায় আবার বাড়িতে চলে আসে। দুপুর ১২ টায় আবার ফাটল দেখা দিলে প্রশাসনকে জানানো হয়।
নূর মোহাম্মদ দর্জি বলেন, আমি আমার নিজ জায়গায় ভবনের জন্য কাজ শুরু করি। প্রকৌশলী যেভাবে কাজ করার জন্য বলেছেন, সেভাবেই করা হচ্ছে। কিন্তু কি কারনে ওই ভবন ফাটল দেখা দিয়েছে তা আমার জানা নেই। ওই বিষয়ে পৌরসভার প্রকৌশলী ভাল বলতে পারবেন।
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, গণপূর্ত ও পৌরসভার দুই ইঞ্জিনিয়ারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা উভয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করবেন। সেখানে কোন ত্রুটি থাকলে মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে। নতুন ভবনের জন্য কাজ করতে আনা ভেকুটি জব্দ করা হয়েছে। আর নতুন ভবন নির্মান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৪ তলা ভবনের লোকজনকে অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।