কচুয়া: কচুয়ার ডুমুরিয়া বাজারের ব্যবসায়ী কাউছার আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে ডুমুরিয়া বাজারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন এলাকাবাসীর । – মানবখবর
বিশেষ প্রতিবেদক ॥
বহু দিন যাবদ মামলার ভয়ে ছিলেন পলাতক। হাইকোর্ট থেকে জামিনে আসার একদিন পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বিবাদী কাউছার আলম। ৩৫ বছর বয়সী কাউছার আলম চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ডুমুরিয়া বেপারী বাড়ির মৃত. রমজান আলীর ছেলে। সে ওই বাজারের একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। রোববার রাতে একই এলাকার বাদী রুমী আক্তার মুঠোফোনে কল করে মানসিক চাপে ফেলে। গতকাল সোমবার মামলা ও হুমকী-ধমকীর ভয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কাউছার।
তার মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার দুুপুরে কচুয়া-হাজীগঞ্জ সড়কের ডুমুরিয়া দক্ষিণ বাজারে সড়কের উপর এলাকার শতশত নারী পুরুষ এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মৃত কাউছার আলমের স্ত্রী শাহিনুর আক্তার বলেন, ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত. জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সাবিনা আক্তার রুমি তার স্বামী কাউছার আলমসহ এলাকার ২২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৭নং আসামী তার স্বামী। গত এক মাস ধরে অবুঝ ২ শিশু ও পরিবার ছেড়ে পলাতক ছিল।
গত দু’দিন ধরে বাদী পক্ষ তার স্বামীর মোবাইলে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দেয়। এতে মানসিক চিন্তায় তার স্বামী হার্ট অ্যাটাক করে সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর জন্য বাদীপক্ষই দায়ী। স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচার চান কাউছারের স্ত্রী।
বাদী সাবিনা আক্তার রুমির সাথে কথা বলতে তার বাড়ীতে যান মানবখবর প্রতিনিধি। রুমী আক্তার বাসায় থাকলেও গোপনে ছিলেন। কথা হয় তার মায়ের সাথে। তিনি মানবখবর প্রতিনিধি কে বলেন, কাউছারকে ফোনই করা হয়নি। অথচ কাউছারের পরিবারের মুঠোফোনে দেখা যায় রুমী আক্তারের কল আছে।
এলাকাবাসীর দাবী অতি দ্রুত ডুমুরিয়া গ্রামে সম্পত্তি ও লেনদেনের ঘটনায় নিরীহ মানুষকে জড়ানো থেকে পরিত্রাণ প্রয়োজন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিষয়গুলো সুরাহ না হলে আইন শৃংখলার অবনতি হতে পারে বলে আশংকা করা যাচ্ছে।