মনিরুল ইসলাম মনির :
মতলব উত্তর উপজেলার জন্য ৭শ’ ১৭ কোটি টাকার ৩টি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদেও নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হওয়ায় চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুলকে মতলব উত্তরের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গালিমখা বাজারস্থ বাগানবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ছেংগারচর পৌরসভা’সহ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচছা জানান।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন মতলব মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ সড়ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে প্রায় ১২২ কোটি টাকা, দাউদকান্দি-মতলব-চাঁদপুর সড়ক প্রশ্বস্থকরণ ও সরলীকরণে ৫শ’ ২৪ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ও শেখ কামাল আইটি পার্ক নির্মাণ প্রকল্পে ৭০ কোটি টাকা একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়।
গালিমখা দলীয় কার্যালযে আলহাজ্ব এ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল এমপিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা ভাইস চেয়ানম্যান মোতাহার হোসেন খান সুফল ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান জহিনের নেতৃত্বে উপজেলা যুবলীগ। হাসান কাইয়ুম খান, রতন ফরাজি, আল মাহমুদ টিটু মোল্লা ও অ্যাড. মহসিন মিয়া মানিকের নেতৃত্বে ছেঙ্গারচর পৌর আওয়ামী লীগ। অ্যাড. আক্তারুজ্জামান ও বোরহান উদ্দিন ডালিমের নেতৃত্বে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও মিলন মেম্বারের নেতৃত্বে উপজেলা শ্রমিক লীগ। আবু হানিফ অভির নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগ। বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে বাগানবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। মাহবুব হোসেন ও রমিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। মিজানুর রহমান ও টিপু খানের নেতৃত্বে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। জিকে ফয়সাল আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাবাজার স্ট্যান্ড কমিটি। আবুল হাসনাত ও ইলিয়াস প্রধানের নেতৃত্বে ফতেপুর পুর্ব ইউনিয়ন যুবলীগ। মাজহারুল ইসলাম টফিজের নেতৃত্বে গজরা ইউনিয়ন যুবলীগ। নুরে আলম স্বপন ও আল মামুন সরকারের নেতৃত্বে ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন যুবলীগ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নুরুল আমিন রুহুল বলেন, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়ীবাঁধ উন্নয়নে ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিলাম। পর্যায়ক্রমে আরো বরাদ্দ হবে। মতলবের সকলে মিলে যদি একত্রে কাজ করি তাহলে আরো উন্নয়ন করা সম্ভব। উন্নয়নে বাঁধা আসবেই, তাই বলেন উন্নয়ন থেকে যাবে না। উন্নয়নের বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করলে রুখে দেওয়া হবে। এর আগেও মতলব প্রবেশের জন্য দাউদকান্দি-মতলব সড়ক উন্নয়নে একটি বড় প্রকল্প একনেক সভায় পাস হয়েছে। মতলববাসীর সুবিধার জন্য কালীপুর-ভবেরচর সেতু নির্মাণ হবে। ইতোমধ্যে মাটি পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া মতলবের মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে আমি কাজ করে যাচ্ছি। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নিজের শরীর সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চান।