• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন

ফরিদগঞ্জে দুই নাবালিকাকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ

আপডেটঃ : বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০

অমরেশ দত্ত জয়ঃ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুই নাবালিকা কিশোরীকে অপহরণের পর মারধর করে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাদেরকে তাদের পরিবার উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন।
১৮ই আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে গেলে এ অভিযোগ পাওয়া যায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি ওই দুই নাবালিকার পরিবার জানায়, আমাদের ফরিদগঞ্জের পৌর ৯নং ওয়ার্ডের ভাটিয়ালপুর গ্রামের প্রতিবেশী রুবেল ও তার ভাই ফয়সাল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সে তার মা আনু বেগম,পিতা আমান এবং ওদের বোন রুবির যোগসাজশে এ নেক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে। তাদের সাথে স্থানীয় বাশার নামের এক ব্যক্তিও জড়িত রয়েছেন বলে আমরা দাবী করছি।
তারা ঘটনা প্রসঙ্গে আরো বলেন, হাসপাতালে ভর্তি ওই দুই নাবালিকার এক জনের বয়স ১৫ এবং অন্য জনের ১২। যাদের মধ্যে একজন (১৫) চির্কা চাঁদপুর বহুমুখী উচ্চ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও অন্যজন (১২) কাচিয়ারা মহিলা আলিম মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তাদের সাথে সুকৌশলে সুম্পর্ক স্থাপন করেছিলো বলে অভিযোগ উঠেছে রুবেল ও ফয়সালের বোন রুবির(২০) বিরুদ্ধে। সে ফুসলিয়ে গত ১৬ই আগষ্ট রবিবার তার পরিবারের অন্যরা মিলে তাদের পাচারের উদ্দ্যেশ্যে গায়েব করে। আমরা এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলাম। পরবর্তীতে বিষয়টি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাশার তাদের নাবালিকা কন্যা সন্তানদের উদ্ধারের আশ্বাস দেয়। আর কথামতো উদ্ধারও করে।
ওই নাবালিকা পরিবারের দাবী,এ ঘটনার মূল হোতা হতে পারে বাশার। কারন সে এই নাবালিকা মেয়েদের আমাদের নিকট হস্তান্তরের পূর্বে অচেতন থাকা অবস্থাতেই মোবাইলে মেয়েদের ভিডিও বক্তব্য ধারণ করে। এমনটি জানিয়ে আমাদের সে নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে।কেননা আমাদের মেয়েরা অচেতন ও মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে। তাদেরকে হয়তো নেশা জাতীয় কিছু খায়িয়ে অপহরণ,ধর্ষণ এবং পরে এই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টগণ ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
এদিকে এ ঘটনার অভিযোগ উঠা রুবেল,রুবি,আনু বেগম,আমান,ফয়সাল কাউকেই তাদের বাসায় পাওয়া যায়নি। যেজন্য এ রিপোর্ট করাকালে তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। এমনকি ওই নাবালিকাদের পরিবারের অভিযোগের মূলহোতা দাবী করা স্থানীয় বাশারকেও তাৎক্ষণিক পাওয়া না যাওয়ায় তার বক্তব্যও নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে ওই নাবালিকা কিশোরীদের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওদের শারীরিক খোঁজ-খবর নিতে তাদের চিকিৎসা করা দায়িত্বরত চিকিৎসক চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মিজানুর রহমানের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান,আমরা হাসপাতালে আনার পর ওই দুই নাবালিকাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। পরে তাদের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওদেরকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করি। তাদের মেডিকেল চেকাপ চলছে। রিপোর্ট আসার পূর্বে ধর্ষণ এবং নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছিলো কিনা? তা বলা সম্ভব নয়। তাই রিপোর্ট আসা পর্যন্ত সবাইকে এ তথ্য নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান পেতে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতনমহল।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…