ছবি মানব খবর : ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে পুলিশ !
স্টাফ রিপোর্টারঃ
চাঁদপুর শহরের জামতলায় মো. আ. মান্নান বেপারী’র(৫৯) নামীয় লিজকৃত জায়গা অবৈধভাবে স্থানীয় সোহাগ বেপারী জবরদখল করেছে বলে রেলওয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
১৭ই আগষ্ট সোমবার ওই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার পুলিশ।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,মো. আ. মান্নান বেপারী(৫৯) ২০১৯ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি হতে চাঁদপুর কোর্ট ও চাঁদপুর ষ্টেশন এর মধ্যে কি. মি. নং-১৭৯/৬ হতে ১৭৯/৭ এর ভিতরে রেল লাইনের উত্তর পার্শ্বে ব্যক্তি মালিকানা ভূমির সংলগ্ন রেলভূমির প্রায় ০.০৯ একর পাড়বিহীন জলাশয় বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা কার্যালয়,চট্টগ্রাম থেকে লিজ নিয়া দীর্ঘ দেড় বৎসর যাবৎ মাছ চাষ করে আসতেছে।
অথছ স্থানীয় জামতলার আলী বেপারীর ছেলে সোহাগ বেপারী ঐ লিজকৃত জায়গার সাথে পুকুরের ওপরে মাচা বানিয়ে জোড়পূর্বক দোকান স্থাপন করে জায়গা অবৈধ উপায়ে জবর দখলের চেষ্টা করছে। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়,সোহাগের অবৈধভাবে স্থাপিত ওই দোকানের যাবতীয় ময়লা আবর্জনা পুকুরের মধ্যে ফেলে পুকুরের পানি নষ্ট করে মাছ চাষের অনুপযোগী করে তুলেছে।শুধু তাই নয়,সোহাগ পুকুরের বেড়া দেওয়ার জাল ছিড়ে ফেলেছে।
এ ব্যপারে অভিযোগ দায়েরকারী জায়গার মালিক মো. আ. মান্নান বেপারী আরো জানান,আমি সোহাগ কে পুকুরে ময়লা আবর্জনা ফেলতে বারন করলে সে আমাকে এটি সরকারি পুকুর বলে জানায়। এটি আমার নামে লিজ করা সম্পত্তি মানতে সে অস্বিকৃতি জানায়। উল্টো সে আমার পুকুরের মাছ মেরে ফেলার সাথে সাথে আমাকেও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তাই আমি আমার লিজকৃত জায়গা বুজে পেতে রেলওয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ওসি সরওয়ারের সাথে আলাপ হলে তিনি জানান,অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কাগজ-পত্র যাচাই-বাছাই করেও দেখলাম ওই জায়গার লিজকৃত মালিক মৃত ফজলুর রহমান বেপারীর ছেলে মো. আ. মান্নান বেপারী। এ বিষয়ে অবৈধ দখলদার সোহাগের পরিবারকে লিজকৃত জায়গার উপর নির্মিত দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত সোহাগের পক্ষে তার মা জাহানারা বেগম জানান,আমার পরিবারের লোকজনের সাথে আলাপ করে এ বিষয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করবো।আমরা কোন অশান্তি চাই না। দরকার হলে দোকান সরিয়ে নিবো।এ ব্যপারে রেলওয়ের কানোনগো মো. কাউসার হামিদকে অবহিত করা হলে তিনি জানান,রেলওয়ের কারো লিজকৃত জায়গায় অন্য কেউ অবৈধ উপায়ে স্থাপনা উঠানোর সুযোগ নেই। আমরা দ্রুতই যার নামে লিজকৃত জায়গা তার ওখান থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে রেলওয়ে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।