মনিরুল ইসলাম মনির, মতলব উত্তর (চাঁদপুর) :
পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসার শেষ মুহূর্তে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পশুর হাটগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় গত কয়েক দিনের চেয়ে দামও একটু কমতির দিকে।
ছেংগারচর, কালির বাজার, ষাটনল, নাউরী বাজার কোরবানির পশুর হাট ঘুরে সকাল থেকেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় আরও বাড়ে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাট ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ট্রাক-ট্রলি বোঝাই গবাদি পশু নেমেছে। অনেকে যেহেতু এখনও কোরবানির পশু কিনেননি, ফলে সবাই এক সাথে শেষ মুহূর্তে বাজারে এলে দাম বাড়তেও পারে।
মঙ্গলবার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশের সাথে গবাদি পশুগুলোকে সারিবদ্ধভাবে বেঁধে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারাও তাদের পছন্দসই পশু ক্রয় করেত একটার পর একটা দেখছেন এবং সাধ্যের মধ্যে কিনতে বিক্রেতাদের সাথে দর কষাকষি করছেন। অনেকে কিনে বাসার উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছেন।
ঠাকুরচর থেকে আসা আরেক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন জানান, ক্রেতারা খুবই অল্প দাম থেকে দর কষাকষি শুরু করায় তারা একদম শেষ মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছেন।
কাবুল সর্দার বলেন, আমরা গবাদি পশুকে শুধু সবুজ ঘাস, খৈল আর ভুসি খাওয়াই। তাই মোটাতাজা করার জন্য ইনজেকশনের প্রয়োজন হয় না।
ছেংগারচর পশুর হাটে আসা সফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, তারা এক লাখ ১০ হাজার টাকায় একটি ষাঁড় কিনেছেন। ভারত থেকে গরু না আসায় অন্য বছরের চেয়ে এবার দাম বেশি।
যেহেতু শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি দিচ্ছি, তাই টাকা কোনো ব্যাপার নয়। আমরা প্রতি বছরই কোরবানি দেই, তাই এবারও দিচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।
আ. আউয়াল নামে আরেক ক্রেতা জানান, তিনি কোরবানির জন্য এ বছর একটি ছাগল কিনেছেন।
তিনি বলেন, প্রতি বছর গরু কোরবানি দিতাম। এবার ১১ হাজার টাকায় ছাগল কিনেছি।
কালির বাজার পশুর হাটের ইজারাদার মিলন মেম্বার জানান, চাহিদা বেশি থাকায় মধ্যম মানের গরু তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এখনো দাম স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে।
মতলব উত্তর উপজেলায় এবার ১৫টি কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য অস্থায়ী হাট বাসানো হয়েছে।
মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে মুখে মাস্ক’সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশুর হাটে গরু ছাগল বেচা কেনা হচ্ছে। জাল নোট সনাক্তের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে মেশিন দেয়া হয়েছে। প্রতিটি বাজারে পুলিশের টহল টিম রয়েছে।