সফিকুল ইসলাম রিংকু:
মতলব দক্ষিণ উপজেলায় নারায়নপুর টাওয়ার হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের অদক্ষতায়, গত ১২ জুলাই নবজাতক শিশুর মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই মায়ের গর্ভে মৃত শিশুকে বের করে আনার জন্য জোর পূর্বক প্রবস করাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রসুতি মায়ের।
জানা যায়, গত ১৬ জুলাই রাত ৩টায় নারায়নপুর টাওয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয় উপজেলার বারিগাঁও গ্রামের প্রসুতি নারী নুরুন্নাহার মনি (২৭)। গর্ভের সন্তান মৃত হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা মিলে ওই প্রসুতির মৃত সন্তানকে পেট থেকে বের করে আনার জন্য ‘নরমাল ডেলিভারি’র চেষ্টা চালায়। এদিকে হাসপাতালে থাকা অদক্ষ চিকিৎসক ও নার্স জোরপূর্বক বাচ্চা প্রসব করান। তবে প্রসবের পর নুরুন্নাহার মনির ব্যাপক রক্তক্ষরণ হতে থাকলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু পথিমধ্যে গৌরিপুরে ওই নারীর মৃত্যু হয়।
মৃত নুরুন্নাহার মনির মামা আবুল কালাম বলেন, গত ২ দিন আগে আমার ভাগ্নি মনিকে নারায়নপুর টাওয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে, চিকিৎসকরা বলেন গর্ভেই বাচ্চা মারা গেছে বলে জানালে আমরা চাঁদপুর নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করাই। সেখানেও একই রিপোর্ট আসলে গর্ভে মৃত বাচ্চাকে প্রসব করানোর জন্য নারায়নপুর টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই। হাসপাতালের ডাক্তাররা জোর করে প্রসব করাতে গিয়ে আমার ভাগ্নির মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান মৃত বাচ্চা প্রসব করাতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু খবরে বাজারের লোকজন ও রোগীর স্বজনরা এসে জড়ো হলে নারায়ণপুর বাজার কমিটির সভাপতি স্বপন মজুমদার সহ এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তিরা বলেন আগে মৃত্যু ব্যক্তির দাফন কাজ সম্পূর্ণ করেন, পরে আমরা সামাজিক ভাবে এটা সমাধান করবো। সেজন্য আমরা দাফন কাজ সম্পূর্ণ করলাম এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
বাজার সমিতির সভাপতি জনাব স্বপন মজুমদার বলেন, ওই নারীর রক্তক্ষরণ বেশি হওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে আমরা সামাজিক ভাবে সমাধান করবো।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি এ ব্যাপারে রোগীর লোক আমাদের কাছে কোন প্রকার অভিযোগ করেনি।