অমরেশ দত্ত জয়ঃ
চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বরে পদ্মা-মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে নব নির্মিত রাজরাজেশ্বর ওমর আলী স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টারের তৃতল ভবন উদ্বোধনের পূর্বেই নদীতে বিলীনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ১৭ই জুলাই শুক্রবার এটি সবার সামনে নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।খবর নিয়ে জানা যায়, মাত্র ১ মাস আগে দৃষ্টিনন্দন এই ভবনটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিলো।আর এরপরই কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই ভবনটি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।এ ব্যপারে ওমর আলী স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টারের ঠিকাদার প্রতিনিধি ও ইউপি সদস্য পারভেজ গাজী রণি জানান, ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রায় ৭/৮ বার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া এবং ইউনিয়নবাসীর কথা চিন্তা করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যায়ে তৃতল বিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবনসহ কাম সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করা হয়। তিনি স্থায়ী পরিকল্পনার ব্যপারে আরো জানান, ভবনের সাইড সিলেকশনের সময় নদী এখান থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ছিলো। একমাস আগে কর্তৃপক্ষের কাছে নব-নির্মিত ভবনটি হস্তান্তর করা হয়। নবনির্মিত ভবনটিতে বিদ্যালয়ের ক্লাস চলার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল।দ্রুতই এটি উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও নদী ভাঙ্গণে সব তছনছ হয়ে গেছে।এদিকে এ ব্যপারে দুঃখ প্রকাশ করে রাজ রাজেশ্বরের ইউপি চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী জানান, ভাঙন শুরু হবার আগেই সাইক্লোন সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ মানুষের বাড়িঘর রক্ষায় আমি ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে জনিয়েছি।তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। প্রতিদিনের ভাঙনে ইউনিয়নের রাজারচর,খাসকান্দি,
জাহাজমারাসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।এখন পর্যন্ত ২ শতাধিক বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে আরো প্রায় ৫শ’ বাড়িঘর ভাঙনের মুখে রয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমরা কোন ত্রাণ চাই না। আমাদের ভিটেমাটি রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবী জানাচ্ছি।ভাঙ্গণ ঠেকাতে স্থানীয় এমপি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এদিকে ক্ষতিগ্রস্থরা এই নদী ভাঙ্গণের পেছনে পদ্মা-মেঘনা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন কে দায়ী করেছেন।তারা অবিলম্বে নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।