নিজ দোকানে মোবাইল সার্ভিসিং করছেন প্রতিবন্ধী মাজহারুল ইসলাম
জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া ॥
প্রতিদিন খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেটে নিজের ছোট্ট দোকানটিতে যান চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার অভয়পাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী যুবক মাজহারুল ইসলাম (২৮)। অস্বাভাবিক হলেও এটাই যেন তার প্রতিনিয়ত স্বাভাবিক জীবন। হাত পায়ের স্বাভাবিকতা হারিয়েছেন জন্ম থেকেই। তবুও থেমে যাননি জীবন যুদ্ধে। নিজ এলাকায় অভয়পাড়া মোড়ে রাস্তার পাশেই ছোট্ট একটি দোকান দিয়ে করছেন হাতের সুকৌশলে মোবাইল সার্ভিসিং, মোবাইল রিচার্জ ও ইলেক্ট্রনিক্সের যাবতীয় খুঁটিনাটি কাজ।
এই অস্বাভাবিক হাত পা গুলোকে মানিয়ে নিয়েছেন স্বাভাবিক যন্ত্রগুলোর সাথে। শুধু তাই নয়, শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও কারো কাছে হাত না পেতে তার অদৌম্য ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সে ইলেক্ট্রনিকস কাজের পাশাপাশি নিখুঁতভাবে করছেন ফটোশপের কাজও। তার এই আঁকাবাঁকা হাতগুলোই এখন পরিবারের একমাত্র চালিকা শক্তি।
তার বাবা দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গত ৮ মে মারা যান। অসচ্ছল সংসারে তিনি এই ছোট্ট দোকানটির উপার্জিত অর্থ দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছেন কোন রকম। প্রতিবন্ধী হয়েও এখনো মেলেনি কোন প্রতিবন্ধী ভাতা কিংবা অন্যকোন কোন সহায়তা। নিজের কাজ করার ইচ্ছা শক্তি থাকা সত্বেও পর্যাপ্ত যন্ত্রাংশ ও অর্থাভাবে পড়ছেন পিছিয়ে। তাই সরকারি বেসরকারি একটু সহায়তা পেলে তিনি দোকানটির কর্মপ্রক্রিয়া বৃদ্ধির পাশাপাশি মা-বোনকে নিয়ে একটু ভালোভাবে চলতে পারতেন।
মাজহারুল ইসলাম মনে করেন, প্রতিবন্ধী হলে কেউ যেনো কারো কাছে হাত না পেতে ভিক্ষাবৃত্তি না করে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কাজ করেন। তাকে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৮৫৯-৪৩১৬৪২ নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান শিশির বলেন, প্রতিবন্ধী মাজহারুলকে প্রতিবন্ধি ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা ও উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।