কচুয়া প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাচার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী মো: আলাউদ্দিন সোহাগকে নিয়োগপত্র না দেয়ার ভিন্ন চেষ্টায় পায়তাঁরা করছেন ম্যানেজিং কমিটি।
জানা গেছে, গত ২০ জুন সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ৯জন প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। পরে নিয়োগ কমিটি ও ম্যানেজিং কমিটি ওই পরীক্ষায় ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে মো: আলাউদ্দিন সোহাগকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ৩২.৫ প্রথম হিসেবে মনোনীত করে নাম ঘোষনা করেন। ২য় হয়েছেন মো: সেলিম মিয়া ২৫.৫ ও ৩য় হয়েছেন আহসান উল্যাহ ২৪.৫ ।
সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে ১ম স্থান মনোনীত মো: আলাউদ্দিন সোহাগ বলেন, আমি সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ বোর্ডের ঘোষনা অনুসারে আমাকে নিয়োগপত্র দেয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে অজ্ঞাত কারনে আমাকে একটি মহল নিয়োগপত্র না দিয়ে তালবাহানা করছেন।
নিয়োগ পরীক্ষার পরে তার রাজনৈতিক পরিচয় বিকৃত করে একদল স্বার্থন্বেষী মানুষ। কিন্তু গত ২১.০৬.২০২০ খ্রি: আমার রাজনৈতিক পরিচয় জানার জন্য অদৃশ্য হাতের ইশরায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদান করেন যে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সময়ে সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব পালন করি এবং বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন ধারন করে চলছি।
কিন্তু জানামতে তার প্রয়াত পিতা মো: শহীদুল হক ৭নং দক্ষিন কচুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন যাবত সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উপজেলা কৃষকলীগের সমবায় সম্পাদক ছিলেন। তাছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী চারটি মামলার আসামী ছিলেন। মামলাগুলোর প্রধান আসামী ছিলেন ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি মহোদয়। এবং আলাউদ্দিন সোহাগ কচুয়া ৭নং দক্ষিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী সমিতির সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তার ছোট ভাই মো: সালাউদ্দিন সুমন কচুয়া ৭নং দক্ষিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সদস্য এবং বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদের জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ।
অদৃশ্য হাতের ইশারায় যখন নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা শুরু হয় তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং উপজেলা পরিষদের শরনাপন্ন হন। বিশেষ করে আমাদের শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে যাকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহযোগিতা করা হয় তার নিকট একাধিকবার সাক্ষাত করে। কিন্তু সারাজীবন আওয়ামী পরিবারের সদস্য হয়েও কারো কাছ থেকে সহযোগিতা পাইনি। আজ বৃদ্ধ মা, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত । পরিবারটি সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করছেন।