কচুয়া প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ৮নং কাদলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম লালুকে গুলি করে প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শনের ঘটনায় প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। এর আগে তিনি বাদী হয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির ঘটনায় রবিবার বিকালে অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় একটি জিডি দায়ের করেছেন। যার নং- ৯০৯,তারিখ: ২৪/০৫/২০২০ইং।
হুমকির ঘটনায় ২৬ মে মঙ্গলবার দুপুরে কাদলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম লালু বলেন, গত ২৪ মে রবিবার বিকাল ৩.৫০টা মিনিটের দিকে আমার ব্যবহৃত ০১৭১২৩৪৪২০৩ নাম্বারে অজ্ঞাত নামা ০১৭১১৫৬১৪৬১ নাম্বারে ফোন দিয়ে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়েও হুমকিস্বরূপ কথা বলে আমাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়।
ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম লালু আরো বলেন, আমি কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি,সাবেক সাধারন সম্পাদক,উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমানে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক,বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান সমিতির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্বে আছি। হুমকিদাতার বিষয়ের পরে জানতে পারি হুমকিদাতা ব্যক্তি জনৈক ফয়েজ আহমেদ স্বপন। তিনি বিগত ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, ফয়েজ আহমেদ স্বপন আওয়ামী লীগের কেউ না এবং তার হাতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নিরাপদ না। দলে তার কোনো পদ পদবী নেই। তিনি এক সময় জাতীয় পার্টির ছাত্র সমাজ করতেন। বিগত দিনে তিনি কচুয়ায় অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের গায়ে হাত তুলেছেন এবং অশালীন আচরণ করেছেন। আমি হুমকি -ধমকির ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং সাংবাদিক ও দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রতিবাদ সভায় নিন্দা ও হুমকিদাতা ওই ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা ও হুমকিদাতার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, কাদলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর আলম,সাধারন সম্পাদক আবুল হাসানাত ফরহাদ , যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম প্রধান,ইউপি সদস্য ওমর ফারুক,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন বিপ্লব,ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।
সাংবাদিকদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাকিবুল হাসান,সাবেক সভাপতি প্রিয়তোষ পোদ্দার, সাধারন সম্পাদক জিসান আহমেদ নান্নু প্রমুখ।
এব্যাপারে কচুয়া থানার ওসি ওয়ালী উল্যাহ অলি জানান, চেয়ারম্যান অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিকে আসামী করে একটি জিডি দায়ের করেছেন। তবে কে দোষী তা তদন্তপূর্বক বেরিয়ে আসবে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে অভিযুক্ত ফয়েজ আহমেদ স্বপন হুমকির বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, একসাথে রাজনীতি করি অনেক কথাই হতে পারে। কিন্তু তাকে হুমকি দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। তবে ওইদিন তার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম লালুকে প্রাননাশের হুমিকর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মো: আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, পালাখাল মডেল ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইমাম হোসেন সোহাগসহ দলীয় নেতাকর্মীরা তীব্র ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।