মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ। সোমবার ভোর ছয়টা থেকে ঈদের নামাজ শুরু হয়। এবং প্রতিটি মসজিদেই একাধীক জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে মুসল্লিরা নিজ নিজ বাড়ী থেকে ওযু করে মুখে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে আসেন। মসজিদের ভেতর জায়গা না হওয়ায় অনেকে মসজিদের ছাদে এবং মসজিদের বাইরে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
ঈদের নামাজ শেষে করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা করে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত কামনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা।
নামাজ শেষে এ বছর সবাই কোলাকুলি করা থেকে বিরত ছিলেন। এ ছাড়াও সরকারি বিধি নিষেদের কারনে উপজেলার কোথাও ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াতকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহীনির উপস্থিতি ছিলো লক্ষনীয়। পুলিশের পাশাপাশি এলিট ফোর্স র্যাবের সদস্যরাও টহল দিতে দেখা গেছে।
জেলার ঐতিহ্যবাহী হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে ঈদুল ফিতরের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সবগুলো জামাতের পূর্বেই মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ভোর ৬টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতের ইমামতি করেন হাফেজ মহিউদ্দিন আল মামুন।
দ্বিতীয় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। এ জামায়াতে ইমামতি করেন, মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হযরত মাওলানা মুফতি আবদুর রউফ। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইমামতি করে মুফতি আবু ছাঈদ।
জেলার অন্যতম হাজীগঞ্জের হযরত মাদ্দাহ খাঁ (রহ.) জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতের ইমামতি করেন, পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি ফজলুল কাদের বাগদাদী।
সকাল ৯ টায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জামাতের ইমামতি করে মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ শামছুল হুদা।