মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে পুকুর সেঁচ দেয়াকে কেন্দ্র করে আপন চাচা মো. শাহজাহান (৫৫) সহ তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের মারধরে মো. ইদ্রিস বকাউল (৩৫) নামের ভাতিজা খুন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার বিকালে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ছয়ছিলা গ্রামের বকাউল বাড়ীতে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত ইদ্রিস বকাউল ওই বাড়ীর প্রবাসী শহিদ উল্যাহ্ বকাউলের ছেলে। ঘাতক চাচা মো. শাহজাহান একই বাড়ীর মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। এই ঘটনায় শাহজাহানের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫০), মেয়ে কুলসুমা বেগম (৩৩) ও ছেলে বাবু জড়িত বলে জানান নিহতের বড় ভাই মো. কুদ্দুস।
নিহতের বড় ভাই মো. কুদ্দুস জানান, এ দিন বিকালে বাড়ীর পুকুর সেঁচ দেয়ার উদ্দেশ্যে আমার ছোট ভাই ইদ্রিস শ্যালো মেশিন বসায়। এতে আমার আপন চাচা শাহজাহান, চাচী হাজেরা বেগম, চাচাতো বোন কুলসুমা বেগম ও চাচাতো ভাই বাবু বাধা প্রদান করে। এ সময় তাদের মাঝে তর্কাতর্কি (কথা কাটা-কাটি) হয়।
এক পর্যায়ে তারা চারজন মিলে আমার ভাই ইদ্রিসের উপর অর্তকিতভাবে হামলা চালায় এবং ব্যাপক মারধর করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। এসময় ভাইকে বাঁচাতে গেলে তারা আমার মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকেও মারধর করে। খবর পেয়ে আমি বাড়ীতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাকিলা বাজারে একজন পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসি।
তারপর সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে, উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইদ্রিসকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাহমুদসহ সঙ্গিয় ফোর্স নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।
এ দিকে ইদ্রিস হত্যার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বাড়ীতে ছুটে যায়। পরে বিষয়টি টের পেয়ে ঘাতক শাহজাহান, হাজেরা বেগম, কুলসুমা বেগম ও বাবু পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ আগামিকাল চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এবং পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।