মনিরুল ইসলাম মনির :
মতলব উত্তরে এখলাছপুর পাম্প হাউজ এর পাশে জমির অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিল কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক । যে দেশের মানুষকে বলা হয় যে মাছে ভাতে বাঙালি, সেখানে ধানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে যাওয়াটা বাহুল্য মাত্র। ধান ক্ষেতের দৃশ্য আমাদের ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্যের নিদর্শন। ধান ক্ষেতের মৃদৃ হিল্লোলে দোলায়মান দৃশ্যে আমাদের চোখে জুড়ায় ।
ভাবুক হৃদয়ের কবি এ দৃশ্য দেখে গেয়ে উঠেছেন ,ধানের ক্ষেএে বাতাসে নেচে যায় দামাল ছেলের মত এমন ধানের উপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস কাহার দেশে। কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশে এই শ্লোগানকে সামনে রোজা রেখে মতলব উত্তরের এখলাছপুরে মতলব উত্তর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক এর নেতৃত্বে অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিলেন ।
রবিবার (১০ মে) সকালে করোনার প্রভাবে প্রয়োজনীয় শ্রমিক সংকটে এখলাছপুর গ্রামের অসহায় কৃষক বাহাউদ্দিন নেতার ৩৭ শতাংশ জমির ধান কেটে দিয়ে সহোযোগীতা করলেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক ।
কৃষক বাহাউদ্দিন নেতা বলেন, তার জমির ধান পেকে গেছে কিন্তু তিনি শ্রমিকের অভাবে জমির ধান কাটতে পারছিলেনা। বিষয়টি তিনি মতলব উত্তর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক কে জানালে ওনার নেতৃত্বে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষক লীগ সদস্য মোজাম্মেল হক, মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান মন্টু, এখলাছপুর ইউনিয়ন, মোঃ মন্টু নেতা, আনোয়ার হোসেন খান, এখলাছপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, কৃষক নেতা মন্টু মিয়া, মনজুর গাজী, মামুনুর রশিদ, নিজাম উদ্দিন সিকদার, ইলিয়াছ মিয়াজী, মানসুর নেতা, গিয়াস উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন’সহ নেতাকর্মীরা। আমার জমির ধান কেটে দেন। কৃষকলীগের এই মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান ।
এই ব্যাপারে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক বলেন, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল (এমপি) মহোদয়ের নির্দেশে আমরা এখলাছপুর অসহায় কৃষকদের জমির ধান কেটে দিয়াছি। এ উপজেলার অসহায় কৃষকের পাশে উপজেলা কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দ সর্বদা থাকবে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সালেহ মো. খুরশিদ আলমের নির্দেশনায় উপজেলা কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ প্রতিটি ইউনিয়নে স্বেচ্ছাশ্রমে অসহায় কৃষকের পাকা ধান কেটে দিচ্ছে।