• বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন

জামাই আতংকে শাহরাস্তিবাসি !! শ্বশুর বাড়ি লকডাউন !! প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০

ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তোহা:

শাহরাস্তি উপজেলায় করোনা ( কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা হতে তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নিতে আসা ওই রোগীর আক্রান্তের খবরে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

 

শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম মিডিয়াকে জানান, আক্রান্ত রোগী শনিবার শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে এসেছে। হাসপাতালে ভর্তির পর রোববার তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার তার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।

 

এদিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম এসে ওই রোগীর শ্বশুরবাড়ি শাহরাস্তি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের উপলতা গ্রামের শীল বাড়ি লকডাউন ও বিভিন্ন বাজারে ওই বাড়ির লোকদের পরিচালিত সেলুনগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

 

জানা যায়, গেল শনিবার শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার পানিয়ালা গ্রাম হতে ৫০ বছর বয়সী প্রাণকৃষ্ণ(শাহরাস্তির জামাতা) নামক রোগী গ্যাস্ট্রিক ও পেট ব্যথা নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসে। রামগঞ্জ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী থাকায় সন্দেহজনকভাবে পরদিন রোববার ওই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে ওই রোগীর করোনা পজেটিভ বলে জানানো হয়।

 

আক্রান্তের শ্যালক সঞ্জয় চন্দ্র শীল জানান, মঙ্গলবার সকালে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে আমাদের রোগীর করোনা হয়েছে জানালে আমরা অধিকতর চিকিৎসার জন্য মহাখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।

এদিকে আক্রান্তের শ্বশুরবাড়ি উপজেলার উপলতা গ্রামে হলেও সেটা ঠাকুর বাজারের (উপজেলার প্রধান বাজার) অংশ হওয়ায় ওই বাজারের লোকজনের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তের শ্বশুর বাড়ির ৫০ গজের মধ্যেই পৌরসভার ৫, ৬, ৭নং ওয়ার্ডের সংযোগস্থল এবং অদূরেই ১ ও ১১নং ওয়ার্ড হওয়ায় গোটা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

 

মঙ্গলবার সকালে শাহরাস্তি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলমের নেতৃত্বে পুলিশ উপলতা শীল বাড়ি প্রবেশের ৬/৭ টি পথ লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন করে দেয়। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

 

শাহরাস্তি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম এল এল বি জানান, হাসপাতাল হতে তথ্য পেয়ে আক্রান্তের বাড়িতে গিয়ে ওই বাড়িটি লকডাউন ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে বাড়ির লোকজনের খোঁজখবর নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উপজেলার ঠাকুর বাজার, দোয়াভাঙ্গা, মেহের স্টেশন ও ভোলদিঘী বাজারে ওই বাড়ির লোকদের পরিচালিত সেলুনগুলো লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ পর্যন্ত ৪৭জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মঙ্গলবার ১৭জন লোকের নমুনা পরীক্ষার জন্য দিয়েছে। এর আগে ৩০জনের নমুনা দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১জন পজেটিভ ও ২৯জন নেগেটিভ বলে তথ্য পাওয়া গেছে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…