• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:৫০ অপরাহ্ন

মেডিকেলে ভর্তি হতে না পারা পান্নার দায়িত্ব নিলেন রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি

আপডেটঃ : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯

 

বিশেষ প্রতিবেদক:

মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে না পারা হাজীগঞ্জের মেধাবী ছাত্রী পান্নার দায়িত্ব নিয়েছেন চাঁদপুর-৫ ( হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী আসনের সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে অন্য তার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে পড়ালেখার দায়িত্ব নিশ্চিত করেন।

সাংসদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পান্নার পরিবারের খোঁজখবর নেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিউজপোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারপরে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।

মুঠোফোনে সাংসদ বলেন, ‘এখন থেকে আমি তোমাকে পড়াবো। তোমার পড়ালেখার দায়িত্ব আমার।’

সাংসদ পান্নার মা-বাবা বলেন, ‘আপনার মেয়ে মেডিকেলে পড়ালেখার সকল দায়-দায়িত্ব আমি পালন করবো।’

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে পান্না বলেন, এই দেশকে স্বাধীনতার জন্য যিনি যুদ্ধ করেছেন এমন মহান ব্যক্তির সাথে কথা বলতে পেরে প্রাণ ভরে গেছে। আমি কথা বলেই নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি। তিনি একজন স্বাধীনতার যুদ্ধের ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার। আমি বেজায় খুশি।

পান্না আরো বলেন, আমি মেডিকেলে পড়ালেখা করে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের সেবা করতে চাই। তার সাথে নিজের গ্রামের একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবার মান বাড়ানোর কাজে নিজেকে জড়াতে চাই।

জানতে চাইলে পান্না বলেন, গ্রামের পল্লী চিকিৎসক কানন ভাই ও হাইস্কুলের আবদুল হক স্যারের অনুপ্রেরণাই আমার চিকিৎসক হবার ইচ্ছে জাগে। তারপর থেকে কলেজের শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় আমাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

পান্নার মা-বাবা বলেন, দুপুরে জেলা প্রশাসক ভর্তির দায়িত্ব নিবেন বলেও জানান। এখন স্থানীয় সাংসদের প্রতিশ্রুতি পেয়ে নিজেদেরকে ধন্য মনে হচ্ছে।

পান্না এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৭৫.২৫ স্কোর পেয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দারিদ্রতা।

বাবা রিকশাচালক। নেই টাকার ব্যবস্থা। কিভাবে ভর্তি হবেন মেডিকেলে এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে পান্না।

পান্না চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের মুন্সী বাড়ির মেধাবী ছাত্রী। তার বাবা মোঃ দুলাল মিয়া। মা কোহিনূর বেগম। সে রায়চোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী। তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট। বাবা রিক্সা চালক। মা গৃহিণী।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…